প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮
দীর্ঘ নীরবতার পর অবশেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের মুখ খুললেন। কয়েক মাস ধরে তাকে এবং তার দলকে নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চললেও তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। তবে এবার তিনি স্পষ্ট করলেন তার অবস্থান। তার মতে, আওয়ামী লীগের ভোটাররা জাতীয় পার্টিকে ভোট দিতে পারে এবং এ নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই।
চ্যানেল ২৪–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ভোটারদের কি নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে? তাদের নাম কি ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে? তারা কি আর ভোট দেবেন না? তাহলে তারা যদি জাতীয় পার্টিকে ভোট দেন, আশঙ্কা কেন? তার বিশ্বাস আওয়ামী লীগের ভোট লাঙ্গলে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ভোটাররা জাতীয় পার্টিকে ভোট দেবে। আবার বিএনপি যদি ভালো সুযোগ-সুবিধা দেয় এবং জিতে গেলে বিরক্ত না করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তবে তারা বিএনপিকেও ভোট দিতে পারে। তবে জামায়াতকে ভোট দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গে জি এম কাদের মনে করেন, আওয়ামী লীগসহ সব দল অংশ নিলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করলে তা দেশের জন্য ভালো হবে। অতীতে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার সময়ও তারা বাধা দিয়েছিলেন, কারণ এসব পদক্ষেপ দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না।
জি এম কাদের অভিযোগ করেন, বিএনপিকে কোনঠাসা করে জামায়াতকে সামনে আনার চেষ্টা চলছে। তার মতে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নয়, বরং নতুন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নামে এখন যা চলছে তা ঠিক হচ্ছে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি আরেক দফা ভাঙনের পর জাতীয় পার্টি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এ কারণে দলটি এখন আগের চেয়ে সংগঠিত ও প্রস্তুত। তার দাবি, জাতীয় পার্টি দেশের রাজনীতিতে আগের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
দীর্ঘদিনের সহযোগিতার কারণে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ থাকলেও জি এম কাদের তা সরাসরি অস্বীকার করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তার দল স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান ও কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও জি এম কাদেরের সাম্প্রতিক বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, দলটি তার নিজস্ব ভোটব্যাংক শক্তিশালী করার পাশাপাশি সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনেও যেতে পারে।