প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৪
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নানা মতভেদ স্পষ্ট হচ্ছে। বিএনপি প্রচলিত নির্বাচনী নিয়মের প্রতি আস্থাবান। তারা সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে ভোটের কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করছেন না এবং সরাসরি ভোটের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়ে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী সংখ্যানুপাতে ভোট হবে, কিন্তু এটি ভোটের অধিকারকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না। সেজন্য তারা সরাসরি ভোটের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী পিআর ভোটের বিষয়টি নিয়ে সরকারের একক সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে। তারা বলছে, বিভিন্ন দলের দাবির দিকে নজর না দিলে এবং সরকার বা নির্বাচন কমিশন এককভাবে সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত আসা উচিত। সরকারের একক পরিকল্পিত উদ্যোগ নির্বাচনের স্বচ্ছতা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তবে তিনি মনে করছেন, সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় থাকলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করার সামর্থ্য সীমিত।
বিএনপি মনে করে, সরকার যদি আন্তরিক থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনও আন্তরিকভাবে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে কোনো কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাদের মতে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেও ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম।
এ সময় এনপিপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা গেছে। গণঅধিকার পরিষদ এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে প্রকট দ্বন্দ্ব থাকায় রাজনৈতিক ঘোলাটে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
বৃহত্তর রাজনৈতিক মহলে এই ভিন্নমত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দেশজুড়ে সুষ্ঠু ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করার আশঙ্কা তৈরি করছে। বিএনপি সরাসরি ভোটের পক্ষে থাকলেও অন্যান্য দলগুলি সমাধান খুঁজতে ঐক্যমতের পক্ষে সঙ্কোচ প্রকাশ করছে।
সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনের স্বার্থে কিছুটা ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা ভাবছে। এই অবস্থায় সরকারের আন্তরিকতা এবং নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।