প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৭
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, জুলাই সনদকে সংবিধানের ওপরে প্রাধান্য দেওয়া হলে তা ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির তৈরি করবে। তিনি মনে করেন, কোনো সমঝোতার দলিল কখনোই সংবিধানের ঊর্ধ্বে হতে পারে না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই সনদের সব বিধান সংবিধান ও আইনের ওপরে কার্যকর হবে। এটি মূলত সংবিধানকে অতিক্রম করার প্রচেষ্টা, যা দেশের আইন ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সমঝোতার দলিলকে আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতার মধ্যে কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবা দরকার। সংবিধানের ওপরে কোনো দলিল প্রাধান্য পেতে পারে না।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, জুলাই সনদ কোনো আদালতের রায় নয়, কোনো আইনও নয়। তাহলে এটি আপিল বিভাগে পাঠানোর এখতিয়ার কিসের ভিত্তিতে হবে? তিনি বলেন, প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে আপিল বিভাগের এখতিয়ার আছে কিনা।
বিএনপির এই নেতা জানান, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ২, ৩, ৪ নম্বর দফা নিয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। সূচনায় অসত্য তথ্য রাখা হয়েছে এবং অনেক বিষয় আলোচনা না হওয়া সত্ত্বেও দলিলে যুক্ত করা হয়েছে। আবার কিছু কিছু বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি এসব বিষয়ে পর্যালোচনা করে কমিশনকে তাদের মতামত দেবে। বিশেষ করে যেসব দফায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, সেগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন হবে এবং যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে সেগুলোর সুরাহা কিভাবে হবে, তা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও জানান, জুলাই সনদের খসড়ায় সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সংবিধান সংশোধনের যে প্রস্তাব ছিল, তা চূড়ান্ত খসড়ায় রাখা হয়নি। এটি বড় ধরনের ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ মনে করেন, সংবিধান সংস্কার, রাজনৈতিক ঐক্য এবং সমঝোতার দলিল বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সঠিক কাঠামো তৈরি করা জরুরি। তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও বিএনপি সবকিছু পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক মতামত দেবে।