প্রকাশ: ৬ মে ২০২৫, ২১:১৩
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এবার কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি। সম্প্রতি একাধিক রাজনৈতিক দল এ বিষয়কে ঘিরে অবস্থান স্পষ্ট করতে শুরু করেছে, যার মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের নিজস্ব প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে।
৬ মে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে অনুষ্ঠিত কমিশনের বৈঠকে এনসিপি তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যিনি জানান যে তার দল কমিশনের সুপারিশকৃত ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত।
এই প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুধু সংসদের দুই কক্ষের সদস্যরাই নন, বরং ৬৪ জেলার ৬৪টি কাউন্সিলের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে ভোট প্রদান করবেন। এটি হবে বিকেন্দ্রীকরণমূলক একটি কাঠামো, যা আরও প্রতিনিধিত্বশীল বলে দাবি এনসিপির।
তবে এনসিপি চায় এই কাঠামোর পরিধি আরও বাড়াতে। সারোয়ার তুষার বলেন, সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এই নির্বাচনে অন্তর্ভুক্ত করলে কেনাবেচার প্রবণতা হ্রাস পাবে এবং যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরাই রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আসবেন।
এনসিপি এ ছাড়াও বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিবছর তাদের আয়-ব্যয় জনসমক্ষে প্রকাশের প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে দুদক যাতে তদন্ত করতে পারে তারও দাবি জানানো হয়েছে।
এই বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এদিকে এনসিপির পক্ষ থেকে অংশ নেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ আরও অনেকে। বৈঠকের সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
কমিশনের চলমান কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে প্রস্তাবগুলো এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে কতটা সফল হবে কমিশন—তা সময়ই বলে দেবে।