রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। তারা রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ডিবি বিভাগ অভিযান চালিয়ে এই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. সাব্বির আহমদ নির্ঝর, পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক কামরুল আহসান নিশাদ, শাহবাগ থানার ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন ওরফে জীবন।
এছাড়াও গ্রেফতার হওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওহিদ এম আর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামীম শাহরিয়ার, ডেমরা ইউনিট আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস কাঞ্চন, বংশাল ইউনিট যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাছুম, উত্তর ২৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হাসান রতন এবং উত্তর বাড্ডার ছাত্রলীগ কর্মী রবিন দেওয়ান।
ডিবি জানায়, বংশাল থেকে মাছুম ও মগবাজার থেকে রতনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মিরপুর-১০ এলাকা থেকে নির্ঝর ও উত্তর বাড্ডা থেকে রবিনকে ধরে ডিবি-গুলশান। ফুলবাড়িয়া থেকে কালু ও উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে নিশাদকে গ্রেফতার করে ডিবি-রমনা।
মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেফতার হন শাকিল হোসেন, মোহাম্মদপুর থেকে ওহিদ এম আর রহমান, মগবাজার থেকে শামীম শাহরিয়ার এবং যাত্রাবাড়ী থেকে ইলিয়াস কাঞ্চন। প্রত্যেককে গোয়েন্দা পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্পট থেকে পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে আটক করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা গোপনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ মিছিল বের করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল। এতে করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছিল এবং জনগণের মধ্যে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল।
তালেবুর রহমান জানান, এসব অপতৎপরতা রুখতেই অভিযান চালানো হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বর্তমানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা আইনশৃঙ্খলার নামে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের শান্তি রক্ষায় এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।