প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৬
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে যুবক হাসিনুরের মৃত্যু নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ভুট্টার পাতা সংগ্রহ করা অবস্থায় হাসিনুরকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ সদস্যরা বুকের উপর পা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে জেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। তিনি প্রশ্ন রাখেন, “হাসিনুর কি মানুষ না? মানুষ হয়ে মানুষের বুকের ওপর পা দিয়ে গুলি করে কীভাবে হত্যা করা যায়?”
তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমরা তাদের স্বাধীনতাকে সম্মান করি এবং শ্রদ্ধা, সম্প্রীতির মাধ্যমে সহাবস্থান চাই। কিন্তু সীমান্তে বারবার বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ না হলে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হবে।
এ সময় তিনি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন। জামায়াত নির্বাচন চায়, তবে খুনিদের বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।
ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থানের কথা উল্লেখ করে ডা. শফিক বলেন, অতীতে ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের পতনের পর আমরা ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো পাহারা দিয়েছি। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায়কে নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হবে না।
তিনি দাবি করেন, জামায়াত এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়তে চায় যেখানে প্রতিটি মানুষ নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে বাঁচবে। কোরআনের শাসন ও সৎ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগের সরকার জনগণের অধিকার ও কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছিল। গুম, খুন আর দমন-পীড়নের মাধ্যমে মানুষকে স্তব্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধেই তারা পালিয়ে গেছে।
শেষে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও ফ্যাসিবাদী মনোভাব এখনো টিকে আছে। এখনো চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের দৌরাত্ম্য চলছে। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যা একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।