শাহজাহান খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী, কারাজীবন থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। বুধবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীক যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগে এক আদালত শুনানিতে এই মন্তব্য করেন। তিনি দেশের জনগণের দোয়া কামনা করেন যাতে তিনি দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
আদালতে শোনানোর আগে, শাহজাহান খান তার সাথে থাকা অন্যান্য আসামিদের সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলেন। এই সময়ে, সাংবাদিকরা তার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তোমাদের দোয়ায় আছি, দোয়া করবা আমার জন্য।” সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “দোয়া করবা যেন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি।”
এসময় এক সাংবাদিক মন্তব্য করেন, “সবাই বলছে আপনারা দেশের বারোটা বাজিয়েছেন।” এই মন্তব্যের পর শাহজাহান খান পাল্টা বলেন, “আমরা বারোটা বাজিয়েছি না, কারা বারোটা বাজিয়েছে, সেটা সামনে প্রমাণিত হবে।” তার এই বক্তব্যে উত্থিত হয় এক ধরণের চ্যালেঞ্জ, যার প্রতিক্রিয়া দেশবাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
এরপর তাদের কাঠগড়ায় তোলা হয় এবং হ্যান্ডকাফ পরানো অবস্থায় শাজাহান খানসহ অন্যান্য আসামির বিচার শুরু হয়। বিচারক এজলাসে ওঠার পর তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত এক এক করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মধ্যস্থতায়, এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “আপনি এত হাসেন কেন?” শাজাহান খান উত্তর দেন, “আমি সবসময় হাসি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসতে থাকবো।” কারাগারে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভালো আছি, কারাগারে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি।”
এদিকে, একে একে তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সাংবাদিকদের মাঝে আলোচনা হয় কিভাবে ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি প্রভাবিত হতে পারে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, শাহজাহান খান এবং অন্যান্য আসামিদের জন্য আগামী সময়টা আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে দেশে ফিরতে এবং নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে চাইছেন, যা অনেকের কাছে এক অদ্ভুত এবং বিতর্কিত আশা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রশ্ন থেকে গেছে—দেশে আসলেই শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না এবং এই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের ভবিষ্যত কী হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।