বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক) শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে। শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে। মঙ্গলবারও কলেজ ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে, একাডেমিক ভবনসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শিক্ষক সংকট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অন্যদিকে, কলেজ প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেছেন। তবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ ছাড়া শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়।
কলেজ প্রশাসনিক শাখার তথ্য অনুযায়ী, কলেজে শিক্ষকদের মোট ৩৩৪টি পদের মধ্যে বর্তমানে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছেন, বাকী ১৮৮টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষক সংকটের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথোলজি, ফিজিওলজি, সিসিইউ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও ডেন্টাল ইউনিটসহ অধিকাংশ বিভাগে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং বদলিকৃত শিক্ষকদের পুনরায় তাদের স্ব-পদে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়া, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারিরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
কলেজের ছাত্র শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কলেজের প্রধান দুটি গেট তালাবদ্ধ ছিল এবং সেগুলোতে ‘শাটডাউন’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাসময়ে কর্মস্থলে এলেও প্রশাসনিক কোনো কাজ পরিচালনা করতে পারেননি। শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে যোগ দেননি।
এদিকে, কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক এবং এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।