বাংলাদেশ সরকার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এই সারের মধ্যে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং ৩০ হাজার টন ডিএপি সার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই সার আমদানির জন্য মোট ব্যয় হবে ৬৩৪ কোটি ৩২ লাখ ১২ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৮ লাখ ১২ হাজার টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৩৪৯.৬৭ মার্কিন ডলার।
এছাড়া, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৩৪৩.২৫ মার্কিন ডলার।
রাশিয়ার প্রোডিন্টরগ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৪৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।
মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এই আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, এবং প্রতি টন সারের দাম হবে ৫৮৪.৫০ মার্কিন ডলার।
এবারের সার আমদানির অনুমোদন বাংলাদেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং সার সরবরাহের ক্ষেত্রে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা আনবে, যা দেশের কৃষকদের জন্য সহায়ক হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।