বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের আলাদা দুটি অংশ। বুধবার রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। পরে শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল থেকে শহরের সরকারি গার্লস স্কুলের সামনে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বাড়ির আসবাবপত্র। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক। ‘দুদুর চামড়া দুলে নেব আমরা’, ‘দুদুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’- এসব স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে মিছিলটি শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের উপস্থাপনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সহসভাপতি শাহাবুল হোসেন। বক্তারা বলেন, একটি টেলিভিশনের টকশোতে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু যেভাবে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে উৎখাতে প্রাণনাশের হুমকি দেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতারা।
একই সঙ্গে শামসুজ্জামান দুদুকে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। একই দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেও বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মিছিল চলাকালে শহরের সরকারি গার্লস স্কুলের সামনে শামসুজ্জামান দুদুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
শামসুজ্জামান দুদুর ছোট ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা জানান, হামলার সময় বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনছ করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিম সুপার মো. কলিমুল্লাহসহ (সদর সার্কেল) পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পিরিদর্শন করেন। কানাই লাল সরকার বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছি। তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি। শামসুজ্জামান দুদুর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।