পদোন্নতি ও অন্যান্য দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন 'বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম'। রোববার সকালে, সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের কক্ষে সামনে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কয়েকদিন ধরেই এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তারা দাবি করছেন যে, তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি ও আর্থিক সুবিধা ফিরিয়ে দিতে হবে এবং তারা তা না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এই সংগঠনের কিছু প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে:
- পদোন্নতির জন্য বঞ্চিত কর্মচারীদের প্রাপ্য সুবিধা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির 'প্রজ্ঞাপন' অবিলম্বে জারি করা হোক।
- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে বির্তকিত কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল করতে হবে।
- পূর্ববর্তী সরকারের দোসর, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
- দলবাজ, অদক্ষ, সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি পাওয়া, কিন্তু এখনো পদায়ন না হওয়া কর্মকর্তাদের দ্রুত উপযুক্ত পদে পদায়ন করতে হবে।
- মাঠ প্রশাসনে কর্মরত বিতর্কিত জেলা প্রশাসকদের প্রত্যাহার করে দক্ষ, সৎ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে।
- বিদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া, তাদের দাবি, যারা পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি পেয়েছেন, তাদের পদোন্নতির আদেশ বাতিল করতে হবে এবং আর্থিক সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে।
এ অবস্থান কর্মসূচির ফলে সচিবালয়ে কাজের পরিবেশ কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। তবে, কর্মকর্তারা তাদের দাবি আদায়ে অনড়, এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এটি সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংকেত, কারণ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই ধরনের আন্দোলন কর্মক্ষমতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের আস্থা ও মনোভাবের প্রতিফলন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।