ভারতের লাদাখের কাছে প্যানগং হ্রদের উত্তর দিকে চীনা সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের অভিযোগ উত্থাপন করেছে ভারতের সামরিক বাহিনী। স্যাটেলাইটের তোলা ছবির ভিত্তিতে বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, এই নতুন ঘাঁটি পূর্বের চীনা ঘাঁটিগুলোর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নতুন এই ঘাঁটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাকি) থেকে ৩৬ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত, যা চীনের পূর্ববর্তী ঘাঁটিগুলোর তুলনায় ভিন্ন। প্যানগং হ্রদের নিকটেই চীন এর আগে একটি সেতু নির্মাণ করেছিল। স্যাটেলাইট ছবির বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন ঘাঁটি ওই সেতু থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
নতুন এই ঘাঁটিতে ৭০টি স্থায়ী বসতি বা থাকার স্থান তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রশস্ত এলাকা নিয়ে নির্মিত, যা চীনের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, এখানে চীনা সেনা এবং নির্মাণ শ্রমিকরা থাকতে পারেন, এবং প্রতিটি ঘরে ৬-৮ জনের বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া, নতুন ঘাঁটিতে ১০ টন ওজনের সরঞ্জাম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব স্থানে গোলা এবং কামান থাকতে পারে, যা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। স্যাটেলাইট ছবিতে ক্রেনের উপস্থিতি এই চিন্তাকে আরও জোরদার করছে।
চীন বারবার লাদাখে সামরিক স্থাপনাগুলি বৃদ্ধি করেছে, যা ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করছে। বর্তমানে, ভারতের সামরিক বাহিনী বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের প্রস্তাব করেছেন।
এদিকে, ভারত সরকার বিষয়টি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে। লাদাখে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠলে, তা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।