ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত ও মাহিন (২২) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষে ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরা রুহিয়া থানা বিএনপি অফিস ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতৃবৃন্দের। শনিবার বিকেলে একই দিনে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রুহিয়া আ’লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রুহিয়া থানা এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ধাওয়া পালটা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন। কয়েকটি মোটরসাইকেল ও দোকানপাট ভাঙচুর করাসহ দুটি মটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থান থেকে সভাস্থলে আসার সময় আওয়ামীলীগের কর্মীরা তাদের মারপিট করে। তারা আমাদের সভামঞ্চে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, অফিসে ভাংচুর চালিয়েছে এবং অফিসেও অগ্নি সংযোগ করেছে। আমাদের অসংখ্য বিএনপির নেতা কর্মীদের আহত করেছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ডাক দেয়। হঠাৎ করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা এমপি রমেশ চন্দ্র সেনের বাসায় হামলা চালায়। এসময় তারা একজন সাংবাদিককে মারপিট করে। পরে আমাদের ছেলেরা এগিয়ে এলে তারা আমাদের ছেলেদের মারপিট করে পালিয়ে যায়। তারা আমাদের ৪/৫ টি গাড়ি ভাংচুর করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, দুটি দল একই সময় সভা ডেকেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি দলকে দুটি সময়ের কথা বলা হয়েছিল। তবে একই সময়ে উপস্থিত হয়ে তারা এই অপ্রিতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পরে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।