জয়ী হয়ে যে ইতিহাস গড়লেন নিক্সন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ১০ই জানুয়ারী ২০২৪ ০৭:২২ অপরাহ্ন
জয়ী হয়ে যে ইতিহাস গড়লেন নিক্সন

দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে টানা তিন জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এবারের জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে হারিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।


ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আগামী ৫ বছরের জন্যও একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রথমবার জাফরউল্লাহকে ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে লড়েন সিংহ প্রতীকে। সেবারও প্রতিদ্বন্দ্বী জাফরউল্লাহই। এ নির্বাচনেও ৪৮ হাজার ভোটে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পান নিক্সন চৌধুরী। আর সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লাহকে ২৪ হাজার ভোটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক করলেন এ নেতা।


গত রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ঈগল প্রতীক নিয়ে নিক্সন চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী জাফরউল্লাহ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট।


এ বিজয়ের পরপরই প্রতিক্রিয়ায় নিক্সন চৌধুরী বলেন, আজকের এ বিজয় উন্নয়নের বিজয়। ফরিদপুর-৪ আসনের জনগণের পক্ষ থেকে এ বিজয় প্রধানমন্ত্রীকে উৎসর্গ করলাম।


তিনি আরও বলেন,৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনের (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসনের) জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাকে ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয় করেছে। এ বিজয় নৌকার বিপক্ষের বিজয় নয়। এ বিজয় জনগণের উন্নয়ন ও মূল্যায়নের বিজয়। আগামীতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব।


এদিকে নিক্সন চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে নিক্সন চৌধুরীর প্রচারণার মূল সুর ছিল এলাকার উন্নয়ন করা, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং ফরিদপুর-৪ আসনভুক্ত তিনটি উপজেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে সেরা উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি। তরুণদের মধ্যে নিক্সন চৌধুরীকে নিয়ে বেশ আগ্রহ ও উদ্দীপনা আছে। তরুণদের সঙ্গে তিনি বেশ সুসম্পর্ক রেখে চলেন। ফলে তরুণেরা তাকে বেশ কাছের মানুষ মনে করেন।