বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ৫ নভেম্বর জনসমুদ্র হবে বরিশালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচ.এম.এ রাতুল, জেলা প্রতিনিধি, বরিশাল।
প্রকাশিত: বুধবার ২রা নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৫ অপরাহ্ন
বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ৫ নভেম্বর জনসমুদ্র হবে বরিশালে

৫ নভেম্বর বরিশালে গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে ব্যপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যদিও সমাবেশ সফল করতে প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে বরিশাল নগর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর উপজেলায় হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। 


তারপরও ৫ নভেম্বর মহাসমাবেশকে সফল করতে এবং জনগনকে সমৃক্ত করতে প্রচার অভিযান থেমে নেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা ধরে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছে ন তারা। এছাড়া খন্ডে খন্ডে বিভিন্ন ধরনের সভাও করছেন তারা। 


সবশেষ বুধবার শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আবার বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মঞ্চ তৈরিসহ মাঠ গোছানোর কাজও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এদিকে পরিবহণ ধর্মঘটের কারনে বিভাগের অন্য জেলা থেকে নেতা-কর্মীদের আগমন নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে। 


যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলছেন, প্রয়োজনে পায়ে হেটে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে প্রস্তুত রয়েছেন।


অপরদিকে গণসমাবেশকে ঘিরে এরইমধ্যে নেতৃবৃন্দের মাঝে বেশ চাঙ্গা ভাবও বিরাজ করছে। নগরীর সদররোডস্থ বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় ঘিরে ব্যানার-ফ্যাস্টুনে ছেয়ে গেছে। সেইসঙ্গে সমাবেশ স্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানের আশপাশের সড়কগুলোতেও প্লাকার্ড ও ব্যানার ঝুলতে শুরু করেছে ছাত্র ও যুব নেতাদের।


মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতায় আমারা দেখেছি, এই মহাসমাবেশগুলোকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য সরকারি দল এবং প্রশাসন যৌথভাবে নানান ধরণের অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলো এবং থাকে। তবে সেইসকল অপতৎপরতা মোকাবেলা করেই এক একটি বিভাগীয় মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে রুপান্তরিত হয়েছে। তিনি বলেন, বরিশালের এই সমাবেশ প্রস্তুতি করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, পরিবহন মালিক সমিতির নাম ব্যবহার করে কোন না কোন কৌশল করে ৪ ও ৫ নভেম্বর একটা ধর্মঘটের ঘোষনা দেয়া হয়েছে। যা নিয়ে আকার ইঙ্গিতে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক আকার ইঙ্গিতে বলেছেন, যাতে আমরা বুঝতে পেরেছি মহাসমাবেশের জনসমাগম ঠেকানোর জন্য এ কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া এরইমধ্যে বরিশাল, উজিরপুর, বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমন করা হয়েছে। গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার অবস্থাও অত্যন্ত ভয়াবহ।


বরিশালের বিভাগীয় গণ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হাসান বলেন, অন্য জায়গার মতো বরিশালেও সকল বাধা-বিপত্তি করে বেলস পার্কে সমাবেশ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আজ দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত, নেই আইনের শাসন, নেই মানবাধিকার। জনগণ ভোট দিতে পারেনা, ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে আজ এজন্যই এ সমাবেশের নাম দেয়া হয়েছে গণসমাবেশ। এটা বিএনপির জনসভা না, এটা বিএনপি এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে গণসমাবেশ, যা মহাসমুদ্রে রুপান্তরিত হবে। যেখানে অংশ নিতে মানুষ বিভাগের বিভিন্ন জায়গা থেকে বরিশাল শহরে অবস্থান নেয়া শুরু করেছে। সবার সহযোগীতায় মহাসমাবেশ সফল হবে এবং ৫ নভেম্বর বরিশাল হবে জনগনের শহর।