বরিশাল প্রতিবাদী মানুষের বিভাগ। কারো চোখ রাঙানি, ভয়ভীতি কিংবা প্রতিবন্ধিকতায় বরিশালের মানুষ থেমে যাবে এটা ভাবার কোন অবকাশ নেই। শহীদ জিয়ার সৈনিকরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে যে কোন প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করবে বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সমাবেশের মাঠ পরিদর্শনের সময় এ হুশিয়ারী দেন তিনি। ৫ নভেম্বর বিভাগীয় গণসমাবশের জন্য নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের একাংশ বরাদ্দ পেয়েছে বিএনপি।
ডা. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি গণসমাবেশের জন্য পুরো বেলসপার্ক (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) বরাদ্দ চেয়েছে। এখানে অর্ধেক বলে কিছু নেই। জনস্রোতে সকল বাঁধা উড়ে যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমার, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির, জেলা (দক্ষিণ) বিএনপি’র আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান নান্টু সহ অন্যান্যরা। পরে নগরীর সদর রোডে গণসংযোগ করেন ডা. জাহিদ হোসেন সহ বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সকাল ১১টার দিকে নগরীর চকবাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সিটি মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার। এছাড়াও বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ৫ নভেম্বর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলার বাকেরগঞ্জে সাবেক সাংসদ আবুল হোসেন খানের উপস্থিতিতে স্থানীয় বিএনপি’র গণসংযোগে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। লাঠিচার্জে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুন জোমাদ্দার ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মোল্লা সহ স্থানীয় ১০জন নেতা আহত হয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপি কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান।
তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর কোন লাঠিচার্জ হয়নি বলে বলে দাবি করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন, সেখানে বিএনপি’র দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো। সংঘাত এড়াতে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।