বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি সাইদুল ইসলামের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ যুবলীগের কোন কমিটির মেয়াদ নেই বলে দাবি করেন এই ছাত্রনেতা।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইমন মাতবর নামের একটি আইডি থেকে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলামের বক্তব্যটি ভাইরাল হয়।
বক্তব্যে সাইদুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে কোন কথা নাই। সারা বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ- ছাত্রলীগের কোন কিছুর নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে? সবই তো মেয়াদ শেষ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিয়ম অনুযায়ী কমিটি হইছে, কমিটি পূর্ণাঙ্গও হইছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ তো সবই। মেয়াদ কোন ইস্যু না। সেন্ট্রাল মনে করলে কমিটি হবে।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশে জাতীয় নির্বাচন আসে, এরপর কমিটি পূর্ণাঙ্গ হতে না হতেই করোনার প্রকোপ দেখা দেয়। করোনার কারণে দুই বছর আমাদের মূল রাজনৈতিক কোন কার্যক্রম ছিলনা। আমরা শুধু ত্রাণ বিতরণ বা সামাজিক কার্যক্রমের মাঝে সীমাবদ্ধ ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আশুলিয়া নিয়ে আমরা সেন্ট্রাল নেতাদের সাথে কথা বলছি। ধামরাই এ তো নির্বাচন ছিল। নির্বাচন শেষ, আমরা কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আর পাশাপাশি সাভারের ইউনিটগুলো নিয়েও আমরা কাজ করব। আমরা খুব দ্রুতই এই কমিটি দেয়ার চেষ্টা করব।
এমন বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাপারে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা বলেন, আমি গতকাল রাতে তার বক্তব্যটি শুনেছি। এ বিষয়ে সেন্ট্রাল তার পদক্ষেপ নিবে।
ছাত্রলীগ ওবায়দুল কাদের দেখে এ বিষয়ে পদক্ষেপ আমরা নিতে পারবো না ওবায়দুল কাদের ব্যবস্থা নিবে। তিনি আরো বলেন এত বড় কথা যেহেতু বলেছে সে তো আরো কিছু করতে পারে। তাকে ছাত্রলীগে কোন কোনো লীগেই রাখা ঠিক হবেনা, তাকে সরাসরি বহিষ্কার করা উচিত।
মানুষ হিসেবে অনেক বড় কথা বলে ফেলেছে কে বলেছে আওয়ামী লীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই ছেলে কয়দিন ধরে রাজনীতি করে ও আওয়ামী লীগ সম্বন্ধে কি বোঝে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করি।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর এর বিষয় নিয়ে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাইদুলের রেকর্ডিংটা শুনেছি অত্যন্ত দুঃখজনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী যার সিদ্ধান্তের উপর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের থাকে। তার কমিটির মেয়াদ নাই, কত বড় নেতা হলে আর কত বড় মীরজাফর হলে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারে। আমি অবিলম্বে সাইদুলের বহিষ্কার দাবি করছি পাশাপাশি ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছে ঢাকায় চাটুকার গিরি করে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা প্রশ্ন করেছে আপনার ঢাকা জেলা উত্তরের ইউনিট কয়টা আছে সে তৎপর ইউনিট কয়টা আছে, সাংবাদিকরা মনে করিয়ে দেয়, আর সেই ছেলে আবার এত বড় দায়িত্ব কিভাবে পায়।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি এমন বক্তব্য দিতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে আওয়ামী লীগ নিয়ে এমন বক্তব্য দিতে পারে না। সে ছাত্রলীগ সম্বন্ধেই এমন বক্তব্য দিতে পারে না। অন্য সংগঠন তো পারেই না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।