প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১৪:৫১
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার উদ্যোগকে রাষ্ট্রের একটি বড় ও সময়োপযোগী সংস্কার হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এই জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে অন্য সব সংস্কার প্রক্রিয়াও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মত অনেকের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব মহল এই সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে দেশের প্রশাসনব্যবস্থায় এক ধরনের ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট—জনগণের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রেখে স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাওয়া। অথচ ফ্যাসিবাদকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে হলে তার ভিত্তি নির্মাণে ব্যবহৃত মূল কাঠামোগুলোই ভেঙে ফেলতে হবে।
সরকার সম্প্রতি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এই উদ্যোগকে বাঁধাগ্রস্ত করতে যারা মাঠে নেমেছেন, তারা জনগণের স্বার্থকে জিম্মি করে নিজেরা সুবিধাভোগী অবস্থান ধরে রাখতে চান। এ ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে শক্ত হাতে দমন করা সরকারের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
একইসঙ্গে জনগণের উচিত সরকারের এই সংস্কারমূলক উদ্যোগকে সমর্থন জানানো এবং প্রয়োজনে এসব প্রতিবন্ধক শক্তির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিয়ে প্রতিহত করা।
এখন সময় এসেছে দেখার, যেসব রাজনৈতিক দল কথায় কথায় জনগণের প্রতিনিধি হওয়ার দাবি করে, তারা এই জনদাবির পক্ষে কী ধরনের অবস্থান নেয়। যদি কোনো রাজনৈতিক দল প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন না করে, তাহলে ধরে নিতে হবে তারাও ফ্যাসিবাদী কাঠামো বজায় রাখতে আগ্রহী।
রাষ্ট্র সংস্কারে এই পদক্ষেপ একটি পরীক্ষার মুহূর্ত—সরকার, জনগণ ও রাজনৈতিক দল সকলের জন্যই।