প্রকাশ: ৪ মে ২০২৫, ১০:৫০
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার আবহে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। তিনি দাবি করেছেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে মোদি সরকার একটি রাজনৈতিক নাটক হিসেবে ব্যবহার করছে, যার উদ্দেশ্য আসন্ন নির্বাচনের আগে জনমত প্রভাবিত করা।
শনিবার হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান ভারতকে হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করা হলে তা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ হুমকির পরেও ভারত সরকার থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কীর্তি আজাদ।
তিনি বলেন, “দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে চিৎকার করছে, অথচ নিজের দেশেই জঙ্গিরা ঢুকে পড়ছে, আর সরকার তা দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা করছে।” তার ভাষায়, এটি সম্পূর্ণ এক রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ, যা দেশের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে।
কীর্তি আজাদ আরও অভিযোগ করেন, মোদি সরকার মানুষের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে দিতে নাটক তৈরি করছে। পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাউ বর্তমানে পাকিস্তানে বন্দি রয়েছেন, অথচ ভারত এখনো তাকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। বারবার পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সমাধান আসেনি, যা গোয়েন্দা বিভাগ ও পররাষ্ট্র নীতির ব্যর্থতা প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মোদি সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, “মোদি কাশ্মীরে যাননি, সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন, অথচ নির্বাচনী সফরে ব্যস্ত। এই সুযোগে পাকিস্তান ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, আর সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।”
তার দাবি, বিজেপি কৌশলে দেশের নিরাপত্তা ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি গোয়েন্দা বিভাগই বারবার ব্যর্থ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে?”
এই বিতর্কিত মন্তব্যের পর ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পেহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চাপানউতোর আরও তীব্র হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।