পাঁচবিবিতে গরু কিনতে আসার পথে অজ্ঞান পাটির শিকার ৩ ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোস্তাকিম হোসেন, উপজেলা প্রতিনিধি পাঁচবিবি- জয়পুরহাট
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
পাঁচবিবিতে গরু কিনতে আসার পথে অজ্ঞান পাটির শিকার ৩ ব্যবসায়ী

নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলা থেকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গরু কিনতে আসার সময় পথিমধ্যে অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পড়ে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খোয়ালেন তিন গরু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে পাঁচবিবি গোহাটি বাসট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা হলেন, লক্ষীপুরের ডালিয়া উপজেলার নুরনবীর ছেলে মুনির উদ্দিন (৫৫), নোয়াখালী সদর উপজেলার নুর ব্যাপারী (৬০), নুরুল হকের ছেলে কাজল (৬৫), শফিগঞ্জ গ্রামের আঃ আলিমের হিঞ্জু (৬৫) এবং লক্ষীপুর ডালিয়াকান্দি গ্রামের চৌধুরী মিয়ার ছেলে আঃ মালেক (৩৮)।


গরু ব্যবসায়ী মুনির উদ্দিন জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জয়পুরহাট সদরের নতুন হাট ও পাঁচবিবি গোহাটি থেকে গরু ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন। ঘটনার দিন তিনি এবং আরও ৬ জন ব্যবসায়ী ফেনী জেলার মহিপাল থেকে শাহ ফতেআলী বাসে করে পাঁচবিবি গোহাটিতে গরু ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাতে পৌনে ৪ টার দিকে সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে সড়কের পাশের একটি হোটেলে সেহরির জন্য যাত্রা বিরতি নেন। সেহরি শেষে বাসটি ছেড়ে দেয়, এরপর তারা আর কিছুই মনে করতে পারেননি। পরদিন সকাল ৭ টায় পাঁচবিবি বাসট্যান্ডে নামানোর পর তারা দেখতে পান ব্যবসায়ী মালেকের ৭ লক্ষ, মুনিরের সাড়ে ৭ লক্ষ ও নুরুর ৪ লক্ষ টাকা খোয়া গেছে এবং তাদের চারজন অচেতন হয়ে পড়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।


এ ব্যাপারে রাখাল আঃ কাফি বলেন, "আমি নিয়মিত তাদের গরুগুলোর রাখাল হিসেবে কাজ করি। আজকে তারা দুই ট্রাক গরু নিয়ে আসবে বলে জানায়। হাটে এসে দেখি তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।"


পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ময়নুল হোসেন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ ঘটনার পর, ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, তাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে তাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা রয়েছে। এই ধরনের অপরাধপ্রবণতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় এবং উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।