গোয়ালন্দ উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে বের হওয়া প্রতিটি চালের বস্তার গায়ে লেখা ‘শেখ হাসিনা’ নাম কালো কালি দিয়ে মুছে বিতরণ করা হচ্ছে। গুদামের কর্মকর্তাদের মতে, বিতর্কিত স্লোগান “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” নিয়ে নানা বিতর্কের কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, গোয়ালন্দ খাদ্য গুদাম থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, প্রশাসক এবং ডিলারদের জন্য চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এ সময় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ আলী, কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি বস্তার গায়ে লেখা “শেখ হাসিনা” নাম কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়ার নির্দেশ দেন।
মুরাদ আলী বলেন, “দেশের বিভিন্ন স্থানে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা অত্যন্ত সতর্কভাবে এ কাজটি করছি।” তিনি আরো জানান, ‘যতদূর সম্ভব, আমরা প্রতিটি বস্তার গায়ে সঠিকভাবে নাম মুছে দিচ্ছি, তবে কিছু কিছু বস্তায় ভুলক্রমে নাম থেকে যেতে পারে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়াজ মাহমুদ জানান, গত শনিবার ও রবিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কার্ডধারী দুস্থ্যদের মধ্যে ১৮২.৭৬০ মেট্রিক টন চাল এবং জেলেদের জন্য মৎস্য ভিজিএফের আওতায় ১০১.৬০০ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার থেকে ঈদুল ফিতরের উপলক্ষে ১২৩.৫৬০ টন সাধারণ ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু হবে।
এ ব্যাপারে নিয়াজ মাহমুদ বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ৩০ কেজি ওজনের প্রতিটি বস্তার গায়ে লেখা ‘শেখ হাসিনার’ নাম মুছে দিচ্ছি, তবে কিছু বস্তায় ভুলক্রমে নাম থেকে যেতে পারে।”
গোয়ালন্দের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও ডিলাররা এ সময় গুদামে উপস্থিত ছিলেন এবং বিতরণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।