পটুয়াখালীতে আওয়ামী শাসনামলে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম। বক্তারা বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান হলেও এখনো গণহত্যাকারীরা বিচারের মুখোমুখি হয়নি। আমরা তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছি।"
তারা আরও বলেন, "যদি সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব। গণহত্যার বিচার ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না।" বক্তারা সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে বলেন, "গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জরুরি।"
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা বলেন, "দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।"
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, "সরকার অন্যায়ভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা ও দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।" তারা বলেন, "দেশের জনগণ আর এই অন্যায় সহ্য করবে না। রাজপথের আন্দোলন আরও বেগবান হবে।"
পরে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে তারা অবিলম্বে গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়। নেতারা বলেন, "গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের স্বার্থে এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে হবে।"
গণঅধিকার পরিষদের এই কর্মসূচিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।