আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ভবনে হাঁটুপানি, আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২১শে আগস্ট ২০২৪ ০৮:২৬ অপরাহ্ন
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ভবনে হাঁটুপানি, আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

ভারী বর্ষণ এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ভবনে হাঁটুপানি জমেছে। যার ফলে দুই দেশের যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। পানির তোড়ে বন্দরের সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।


বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় আখাউড়া-আগরতলা সড়কের গাজীরবাজার এলাকায় একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে গেছে। ফলে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থলবন্দর সড়কের পাশে আমদানি-রপ্তানিকারকদের কয়েকটি অফিসও পানিতে তলিয়ে গেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, রপ্তানি কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন জানিয়েছেন, সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে এবং ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।


ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং সেতু মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানানো হয়েছে। তবে সেতুটি দ্রুত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়।

 

অপরদিকে, বিজয়নগরে টানা বৃষ্টির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারত থেকে আসা পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে, এবং অনেক বাড়ির আশপাশের এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। ফলে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মাটির ঘর ভেঙে গেছে এবং পুকুরের মাছ ভেসে যাচ্ছে। গাছপালা নষ্ট হয়েছে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

 

অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে শ্রমজীবী, দিনমজুর এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই কাজে যেতে না পারায় খাবার সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সাব্বির আহমেদ জানিয়েছেন, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। সিংগারবিল, বুধন্তি, বিষ্ণপুর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর আমন জমির ধান নষ্ট হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে। প্রকল্প কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান জানান, চম্পকনগর ইউনিয়নের খুদেহারিয়া এবং মুকন্দপুরের বামুটিয়া গ্রামে বেশ কয়েকটি মাটির ঘর ভেঙে পড়েছে। 


উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক জানিয়েছেন, বর্ডার এলাকার গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে এবং ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।