ঠাকুরগাঁও রুহিয়া ডাকবাংলো নয় যেন পাবলিক টয়লেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
থানা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার ৬ই ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:১৮ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও রুহিয়া ডাকবাংলো নয় যেন পাবলিক টয়লেট

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ডাকবাংলোটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের চার পাশ ঝাঁড়-জঙ্গলও বিষাক্ত পোকা-মাকড়ে ভরে গেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বাহিরে প্রাচীর রয়েছে আর ভিতরে পচা দুর্গন্ধ ময়লা- আবর্জনাও ফেন্সিডিলের বোতল পড়ে আছে। হঠাৎ যে কারও দেখে মনে হবে ডাকবাংলো নয় যেন গনশৌচাগার ও মাদক সেবীদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। অযত্নে অবহেলায় ভবনের চারপাশে ঝাড়-জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। সংস্কারের অভাব ও বৃষ্টির পানিতে ভবনের দেয়াল ও প্রাচীর নষ্ট হয়ে গেছে। হাত দিলেই যেন পলেস্তারা খসে পড়ার অবস্থা। আর একটি সাইনবোর্ড থাকলেও সেখানে সবকিছু অস্পষ্ট। বোঝার কোন উপায় নেই যে এটি একটি সরকারি ভবন।

তবে ডাকবাংলোটির দেখা শোনার জন্য আসরাফুল নামে একব্যাক্তি দায়িত্বে থাকলেও অনেক খোজাখুজির করেও তাকে পাওয়া যায়নি। দায়িত্ব পালনের অবহেলারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।নাম না প্রকাশে অনেকেই বলেন, বাহিরের যে অবস্থা ভেতরে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেহাল দশা। প্রতিনিদন রাতে একটি প্রভাবশালী মহল এখানে মাদক ও জুয়ার আড্ডা বসায়। আর ঝাড়- জঙ্গলে ঢেকে গেছে পুরো ভবন। বিষাক্ত পোকা মাকড়ের ভয়ে বাইরে থেকে আসা অথিতিরা থাকতে চাইনা। তাই এভাবেই কয়েকবছর ধরে পরে আছে। 

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো: মনিরুল হক বাবু বলেন, রুহিয়া ডাকবাংলোটি বসবাসের অনুপযোগী। চার পাশ ঝাড়_ জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। আর বিভিন্ন বিষাক্ত পোকামাকড়ও দেখা যায়। বৃষ্টির পানি পড়ে পুরো ভবন নষ্ট হয়ে গেছে যে কোন সময় বড় ধরনের  দুর্ঘটনা হতে পারে।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রুহিয়া ডাকবাংলোটির বিষয়ে আমার জানা নেই। এই প্রথম শুনলাম। তবে আমি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।