পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী টোল প্লাজার সামনে মোশাররফ হোসেন দুলাল মাদবরের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হয়রানি মূলক মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোশাররফ হোসেন দুলাল মাদবর।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাল দলিল ও ভুয়া রায়ের মাধ্যমে রুহুল আমিন ও সফেজ কারিকর দুজন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ একর জমি রেকর্ড করান। যার মূল্য প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা হলেও তাদের মালিকানায় এক শতাংশ জমিও নেই।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতে একটি ও ল্যান্ড সার্ভে মামলা, ফৌজদারী আদালতে একটি জাল দলিল মামলা এবং ডিসি অফিসের এল.এ শাখায় পাঁচটি আপত্তি মামলাসহ মোট আটটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, লেবুখালী মৌজার জে.এল নং ২২ এর খতিয়ান নং ৫২৪, দাগ নং ১৪৬৩ জমির পরিমান ১.২৪ একর।
আরেক খতিয়ান ৭৮৫, দাগ নং ১৪৬০, জমির পরিমান ৮৬ শতাংশ। ১২২ নং খতিয়ানে ১৪৬২ দাগে ১.৪০ একর জমি রয়েছে। আর এই সমস্ত দাগে মোট জমির পরিমান ৩.৫০ একর রয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দলিল রয়েছে যেখানে সফেজ করিকরের পিতা হাছন কারিকর দাতা এবং গ্রহীতা হিসেবে মাশফিকুর রহমান।
এদিকে বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তারা পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন মোশাররফ হোসেন দুলাল মাদবরকে। তিনি আরো বলেন, সাবেক দুমকি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আকন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত শাহআলম আকন ও বর্তমান চেয়ারম্যান তুহিন আকনসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাব খাটিয়ে জমি আত্মসাৎ করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আলহাজ্ব মোঃ মশিউর রহমান ও মাশফিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।