প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২০, ২১:২৩
একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি ও অগ্রগতির ফলে রেডিওর ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে।এক সময় দেখা যেতো গ্রামীণ মানুষের সংবাদ শোনার নির্ভরতার প্রতীক ছিলো রেডিও। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এটার ব্যবহার অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের দেশে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ফলে রেডিও বা বেতারের ব্যবহার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, এখন বেতারকে ইন্টারনেট এবং টেলিভিশনের সাথে টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে।স্কুলে পড়ার সময় ছোটবেলায় ছুটির দিনে বা অবসরে অনুরোধের গানের আসরসহ বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনতাম। অনেক সময় ক্রিকেট খেলার ধারা বিবরণী শোনার জন্য বসে থাকতাম।
১৯৮৪ সনে মোহাম্মাদ আলির মুষ্টি যুদ্ধের জয়ের খবর রেডিও তে শুনেছি।ব্যক্তি জীবনে ১৯৯৯ সনে হজ্জ ব্রত পালন করেছি। আমি ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকি। রেডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো শুনে থাকি,যা শুনে আমার জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। রেডিওর সাথে কত স্মৃতি যে জড়িত সেটা মনে করলে।আমি ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম।রাত্রি ১০ টার বিবিসির সংবাদ না শুনলে ঘুম আসে না।সকাল ৭টা, রাত সাড়ে ৮ টার সংবাদ প্রতিনিয়ত শোনা হয়।বিশ্ববিচিত্রার আশ্চর্যজনক ঘটনার সংবাদটি শুনে খুবই আত্মতৃপ্তি পাই।
ব্যক্তিজীবনে প্রথম ফিলিপস্ রেডিও ক্রয় করি।৪৫ বছরে চারটি রেডিও ব্যবহার করেছি।এখন নাইন ব্রান্ডের রেডিও ব্যবহার করতেছি।আমি যতদূরেই ভ্রমণ করি না কেন, সাথে সবসময় রেডিও সাথে রাখি।এটা যেন আমার নেশাতে পরিণত হয়ে গেছে।তরুন প্রজন্মের উচিত এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখা।আমরা হয়তো থাকবো না কিন্তু আমাদের এই শখগুলো বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তমান প্রজন্মের। তিনি আরও বলেন বর্তমানের ছেলেমেয়েরা মোবাইল হাতে পেয়েছে যার ফলে রেডিওতে কোন ধরণের অনুষ্ঠান হয় সেটাও জানেনা।
অনেক সময় খারাপ লাগে। অতীতের দিনগুলো কতই না মধুর ছিলো। রেডিও আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে।তাই প্রতিদিন রেডিও না শুনলে আমার ঘুম আসে না।রেডিওর প্রতি আমার প্রেম ও ভালোবাসা কি রকম এটা বলে শেষ করতে পারবো না।তাই শুধু দুর্গম, সুবিধাবঞ্চিত বা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ নয়,নগরীর মানুষ এবং তরুণরাও যেন বেতারের অনুষ্ঠান শোনার জন্য আগ্রহী হয় সেজন্য আমাদের সকলের উচিত নিজস্ব মনোভাব তৈরী করা।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচার ও প্রসার হয়েছে। মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে মোবাইল।আর এখন অনেকের বাড়িতেই টেলিভিশন রয়েছে যার দরুন রেডিও শোনার আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে ফেলছে মানুষ।