লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে গণপিটুনি দিয়ে আবু ইউনুস মো. সাহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার রাসেল ইসলাম রাজ ওরফে বিশু (২২) নামে আরও একজন স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ নিয়ে ৫জন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলেন।শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আমলী আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল আলম এর আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জবানবন্দি প্রদান করেন রাসেল রাজ বিশু।
এর আগে রোববার (২২ নভেম্বর) দুপুরে আমলী আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।রাসেল ইসলাম রাজ ওরফে বিশু লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে।জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, বহুল আলোচিত জুয়েল হত্যা মামলায় দায়ের করা তিন মামলার অজ্ঞাত নামীয় আসামি রাসেল রাজকে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে পাটগ্রাম কলেজ মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
দায়ের করা তিনটি মামলায় তদন্তে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার রাসেল রাজকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের পাঁচ দিনই মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাসেল রাজ বিশুকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি আদালতকে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলার মূলহোতা বুড়িমারী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন ওরফে হোসেন ডেকোরেটর এবং মসজিদের খাদেম জোবেদ আলীসহ এ নিয়ে মোট পাঁচজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ দিকে আলোচিত এ মামলায় বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বুড়িমারী ইউনিয়নের ইসলামপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আইনুল হকের ছেলে ফরিদুল ইসলামকে(৩৫) গ্রেফতার করে শুক্রবার জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট ৪০জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে ১৫জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি ওমর ফারুক।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।