আমবয়ানের মধ্য দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বরিশালের চরমোনাইতে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল শুরু হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম পীর সাহেব মাহফিলের উদ্বোধনী বয়ান করেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে এবার মুসল্লিদের জন্য মোট চারটি মাঠে প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। আগামী সোমবার ফজর নামাজ বাদ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শেষ হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই মাহফিলে অংশ নিতে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী চরমোনাই মাদ্রাসার মাঠসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে মুসল্লিরা সমবেত হয়েছেন। চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, বার্ষিক তিন দিনের মাহফিলে মোট সাতটি বয়ান হবে। এর মধ্যে পাঁচটি বয়ান করবেন চরমোনাই পীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম ও দুটি বয়ান করবেন পীরের ভাই আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করীম।
এ ছাড়া দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী, বাহরাইনের শায়খ আবদুর রহমান, মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মুফতি সৈয়দ মো. আবুল খায়ের, মরহুম পীর সাহেবের খলিফা মাওলানা আবদুর রশিদ (পীর সাহেব বরগুনা), আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর) ও অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ (পীর সাহেব খুলনা)।
মাহফিল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন এবং তৃতীয় দিন রোববার ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে মাহফিল প্রাঙ্গনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাই ভোল্টেজ অটো জেনারেটর। আগত মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে একটি হাসপাতালও রয়েছে।