ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সারাদেশের সাথে একযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)’র ৬৯টি বিটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সমাবেশের উদ্বোধন করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)। এর পরপরই বিএমপি’র সকল বিটে সমাবেশ শুরু হয়। টাউন হলে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল আদালতের পিপি ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর, বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া, প্রবীন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাড. এসএম ইকবালসহ অন্যান্যরা।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বিএমপি কমিশনার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন সমাজে আজ একটি ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। এখান থেকে উত্তরণ করতে চাইলে শুধুমাত্র পুলিশই নয়, সেবা গ্রহণকারী ও সেবা প্রদানকারী সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই আমরা আমাদের মায়েদের-নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব। তিনি আরো বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এ শ্লোগানকে ধারণ করে প্রত্যেকটি থানায় নারী ও শিশুদের জন্য আলাদ হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র নারী ও শিশুদের সেবা প্রদানের জন্য যে হেল্প ডেস্কে নারী অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে বিএমপি’র প্রত্যেকটি সমাবেশ স্থলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী পোস্টার, লিফলেট, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। সমাবেশে জনসাধারণকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। এ ব্যাধি নির্মূলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশ তথা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিএমপি’র প্রত্যেক সদস্য দেশের সেবা ও জনগণের কল্যাণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, কর্মজীবি নারী সহকর্মীদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। নারীরা আজ কর্মক্ষেত্রসহ সবক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। মহামারি করোনাকালেও নারীরা পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে গেছেন। নারী-পুরুষ সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া প্রত্যেকটি সন্তানকে তার বাবা-মায়ের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে করতে। তারা বলেন, খারাপ লোককে আইনের মাধ্যমে ভাল করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সমাজের খারাপ মানুষগুলোকে ভালো করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী ধর্ষকদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন করেছেন। নারীদের সুরক্ষা প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, আমরা বিশ্বকে জানান দিতে চাই ‘আমরা নারীবান্ধব, নারীদের প্রতি সহনশীল।