প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৫৩
টেকনাফে পৃথক অভিযানে ১ লাখ ২৬ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি ও র্যাব।এসময় তিনজন বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা কে আটক করা হয়জানা যায়, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারকালে ১লাখ ২০হাজার পিস ইয়াবার চালান উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসময় পাচার কাজে ব্যবহৃত কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়।৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতের প্রথম প্রহরের টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের টেকনাফ বিওপির টহল দল মাদকের চালান অনুপ্রবেশের সংবাদ পেয়ে নাফনদী বরাবর বিআরএম-৫ পয়েন্টের দক্ষিণে লাফারঘোনা পয়েন্টে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন লোক মিয়ানমারের দিক হতে একটি হস্তচালিত নৌকা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে।
তখন বিজিবি জওয়ানেরা চ্যালেঞ্জ করলে মাদক পাচারকারীরা নৌকা ফেলে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি বস্তাসহ ১টি কাঠের নৌকা পাওয়া যায়। বস্তা ২টি ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ১লাখ ২০হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।উদ্ধারকৃত ওই ইয়াবাগুলো পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।
এদিকে টেকনাফে মাদকের চালান বহনের সময় জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৩ জন বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে।সুত্র জানায়, ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টারদিকে র্যাব-১৫ এর চৌকষ একটি আভিযানিক দল মাদক বহনের সংবাদ পেয়ে টেকনাফ সড়কের রঙ্গিখালী-আলীখালী পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পাচারকারীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া করে ২৭নং জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-বি-৫ এর বাসিন্দা মৃত সাঈদুল আমিনের পুত্র মুছা (২১),
আব্দুল গণির পুত্র আসমত উল্লাহ (২৭) এবং একই ক্যাম্পের ব্লক-এ-১ এর বাসিন্দা রশিদ আহমদের পুত্র সাব্বির (২০) কে আটক করে। পরে সাক্ষীদের সম্মুখে তাদের দেহ তল্লাশী করে ৫ হাজার ৯'শ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর জব্দকৃত মাদকসহ ধৃত মাদক কারবারীদের টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে বলে র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী নিশ্চিত করেন।