পিতা তোমায় কথা দিলাম, বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ১৬ই আগস্ট ২০২০ ০৮:২৪ অপরাহ্ন
পিতা তোমায় কথা দিলাম, বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব

দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়ার লক্ষ্যে দলের সকল নেতাকর্মীকে শপথ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এই বলে প্রতিজ্ঞা করি, পিতা তোমায় কথা দিলাম, তোমার বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব। এই বাংলার মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় এবং বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। তুমি যে স্বপ্ন দেখেছিলে, তা বাস্তবায়ন করব।’জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী জিয়া ও খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ‘জিয়া ক্ষমতায় থাকতে যা করে গেছে খালেদা জিয়াও ঠিক একই কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জিয়ার ইন্দন ছিল। কর্নেল ফারুক তার ইন্টারভিউতে এ কথা স্বীকার করেছে। খন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জিয়াকে সেনাপ্রধান করল। খুনি-বেঈমান মোশতাক তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এটা কেন করেছে, তা সবাই বুঝতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার সংযোগ ছিল, আঁতাত ছিল। খুনিদের বিদেশে চাকরি দিয়েছে, তাদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। জিয়া ক্ষমতায় এসে হাজার হাজার সৈনিক ও আর্মি অফিসারকে হত্যা করেছে। কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারেনি। কেউ যদি প্রতিবাদ করত, তাকে আর জীবিত পাওয়া যেত না। প্রতিবাদ করার সঙ্গে সঙ্গে সাদা গাড়ি এসে তাকে তুলে নিয়ে যেত। এভাবে জিয়াউর রহমান এই দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

বেগম খালেদা জিয়াও ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে খুনি কর্নেল রশিদ ও হুদাকে নির্বাচিত করে এনেছিল। রশিদকে তিনি বিরোধী দলের চেয়ারে বসিয়েছিলেন।এছাড়া খালেদা জিয়া অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে কত মানুষকে হত্যা করেছে, শত শত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। খালেদার শাসনামলেও রাজনীতি করার মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না। তিনিও এসব হত্যার ইনডেমনিটি দিয়ে গেছেন। এসব হত্যার বিচার করা যাবে না। এভাবে জিয়া এবং তার স্ত্রী এ দেশে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।’


শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ দেশের মানুষ শান্তি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছে। আমাদের অনেক আশা ছিল, আমরা মুজিববর্ষ-কে অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করব কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হয়নি। দলীয় হাজার হাজার নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। করোনাভাইরাসের এই সময়ে মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে গিয়ে আমাদের আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, আমরা বৃক্ষরোপনের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, মুজিববর্ষে এ কর্মসূচি আমাদের অব্যাহত থাকবে। এছাড়া এ দেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না, প্রত্যেকটা মানুষ যেন তার বাসস্থান পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।