পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার দশনাম্বারের পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপু-কে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া প্রতিহিংসা থেকেই ছয় সহযোগীকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নিপুন ত্রিপুরা নামে এক যুবক।ক্লু-লেস নুর মোহাম্মদ টিপু হত্যাকান্ডের ২১ দিনের মাথায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ গত দুই দিনে মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ সাত যুবককে আটক করে মাটিরাঙা থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী গুইমারার মাইরং পাড়ার কুমার ত্রিপুরার ছেলে নিপুন ত্রিপুরা (১৭), মাটিরাঙার কাঠালিয়া পাড়ার শান্তি ত্রিপুরা (২০), সুমন ত্রিপুরা (২০), ডেনী ত্রিপুরা (২৪), দীপন ত্রিপুরা (২৩), স্বপন ত্রিপুরা (২৪) ও নীল ত্রিপুরা (২৩)।মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক শাহনুর আলম জানান,পল্লীচিকিৎসক নুর মোহাম্মাদের সাথে এিপুরা মেয়ের প্রেমের সর্ম্পক আছে এমন সন্দেহ ছিল নিপুন এিপুরার সন্দেহ থেকে ঘটনার দিন ২৪জুলাই ভোরে বাড়ি থেকে প্রসূতি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে নুর মোহাম্মদ টিপুকে ডেকে নিয়ে যায় নিপুন এিপুরার নেতৃত্বে তার অপর ছয় সহযোগিকে নিয়ে হত্যাকরে মরহেদ সকালে সাপমারা ব্রিজের নিচে ফেলে পালিয়ে যায়।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুদ্দীন ভুইয়া জানান, স্থানীয় একজন ত্রিপুরা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিপুন ত্রিপুরা। অন্যদিকে একই মেয়ের সাথে প্রেম ঘটিত সম্পর্ক গড়ে উঠে পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপুর। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠে ওই মেয়ের প্রেমিক নিপুন ত্রিপুরা। তারই জের ধরে ছয় সহযোগীর সাথে পুর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপুকে হত্যা করে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের সাপমারা ব্রীজের নীচে ফেলে দিয়ে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সামসুদ্দীন ভূঁইয়া ,বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দার তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পল্লী চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ টিপু হত্যাকান্ডে জড়িত ৭ আসামীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃততেদর মধ্যে সুমন ত্রিপুরা ও শান্তি ত্রিপুরা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বাসা থেকে ডেকে নেয়ার ১০ ঘণ্টা পর গেল ২৪ জুলাই (শুক্রবার) দুপুর ২টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের সাপমারা ব্রিজের নিচ থেকে পল্লী চিকিৎসকনুর মোহাম্মদ টিপুর মরদেহটি উদ্ধার করে মাটিরাঙা থানা পুলিশ।