বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরি ভবন থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় তদন্ত ৭ সদস্যের কমিটি গঠন ও ১৯ নিরাপত্তাকর্মীকে (গার্ড) দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বশেমুরবিপ্রবি'র রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরুউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত দুটি আলাদা অফিস ও নোটিশ আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়।
শোকজ নোটিশে নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়, তারা হলেন- শেখ মোজাহিদুর রহমান, লিয়াকত হোসেন, সুলতান ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আকমান হোসেন, হাবিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মুকিত শেখ, নয়ন দাড়িয়া, মাহবুব আল হাসান, এমরান হোসেন, নাসির উদ্দিন মোল্লা, রবিউল ইসলাম, শাহ আলম, আকরাম আলী শেখ, মানস কুমার শিরালী, এমারত পাটোয়ারী, নিয়ামুল ইসলাম এবং রাজু আহমেদ।
এই নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে সব নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব পালনের সূচি থাকলেও অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন, যা চাকরিবিধির পরিপন্থি, দায়িত্বে অবহেলার শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, " লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় ১৯ নিরাপত্তা কর্মীকে কারণ দেখাতে বলা হয়েছে। তাদের আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।" অন্য এক অফিস আদেশে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনায় আইন অনুষদের ডিন মোঃ কুদ্দুস মিয়াকে সভাপতি করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ৭ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার ছুটির সময় ববশেমুরবিপ্রবি'র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূরউদ্দিন আহমেদ গত ১০ আগস্ট (সোমবার) চুরির এবিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।