মসজিদ নিয়ে কোনো রাজনীতি করিনি: এড.এম হেলাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
তালুকদার মামুন, নিজস্ব প্রতিনিধি হিজলা (বরিশাল)
প্রকাশিত: শুক্রবার ১০ই জুলাই ২০২০ ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
মসজিদ নিয়ে কোনো রাজনীতি করিনি: এড.এম হেলাল

কুয়েত সংস্থার অর্থায়নে বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য ঘোষের চর বেপারী বাড়ি জামে মসজিদ নিয়ে চলতি বছরের ২৯ জুন সোমবার একটি অনলাইনে সংবাদ প্রচারিত হয়। যেহেতু একটি মসজিদ এবং এর সাথে সম্পৃক্ত করে একজন ব্যক্তির রাজনীতি নিয়ে আলোড়ন হয়েছে, তাই উক্ত স্থানে বিষয়টি নিয়ে জানতে ইনিউজ৭১ এর প্রতিনিধি সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেলে কথা হয় উক্ত মসজিদের সভাপতি আঃ খালেক বেপারীর সাথে। তিনি জানান, যে সংবাদটি প্রচার হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

কারণ ওই প্রতিবেদকের সাথে তার সামনাসামনি বা মোবাইলে কোনো কথা হয়নি। কিন্তু সংবাদে সে আমার সাক্ষাৎকার দিয়েছে। তাছাড়া যাকে উদ্দেশ্য করে লেখা, তার নাম এড.এম হেলাল উদ্দিন। এই মসজিদ নির্মাণে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। মসজিদটি তো আর এমনি এমনি এখানে কুয়েত সংস্থা নির্মাণ করে দেয়নি, আমাদের মসজিদ প্রয়োজন তাই তার সাথে আলাপকালে মসজিদটি আমরা পেয়েছি এবং এর পেছনে যতো দৌড়ঝাঁপ সেতো এড.হেলাল করেছেন। উল্টো এই মসজিদ নির্মাণে তার ব্যক্তিগত টাকাও আমরা নষ্ট করেছি। এই মসজিদটি এখানে নির্মাণে তার অবদান অবশ্যই আছে।

কথা হয় ঢাকার কার্পেট বাজারের স্বত্বাধিকারী সিদ্দিক এর সাথে, তিনি জানান কুয়েত সংস্থার মসজিদের কার্পেট সহ অন্যান্য জিনিস পত্র ঠিকাদারগণ তার এখান থেকে সংগ্রহ করে। অবশ্য তার বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ার লালগঞ্জে। তার এলাকাতেও কুয়েতি সংস্থার একটি মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। তবে আমরা এড.হেলাল উদ্দিনের সহযোগিতায় মসজিদটি নির্মাণ করতে পেরেছি। একটি কুয়েতি মসজিদ নির্মাণ করতে গেলে অনেক শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে প্রধান হলো যায়গার পরিমাণ অনুসারে কুয়েত সংস্থায় টাকা জমা দেয়া। আমাদের মসজিদ নির্মাণের সময় সম্পূর্ণ টাকা কমিটির কাছে ছিলো না, তখন এড. হেলাল উদ্দিন নিজর পকেট থেকে টাকা দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

তাছাড়া যেখানে যা প্রয়োজন তার সাহায্য পেয়েছি। তিনি জানান, তবে মসজিদ নির্মাণের ব্যাপারে হেলাল ভাইয়ের বিরুদ্ধে যারা যাই লিখুক তারা তার সম্পর্কে না জেনে লিখেছে।
কথা হয় সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মধ্য কাশিমাড়ী বাইতুন নূর জামে মসজিদের সেক্রেটারি কামাল জিতুর সাথে, তিনি জানান কুয়েতি মসজিদ নির্মাণের জন্য আমরাই এড.হেলাল উদ্দিনের কাছে গিয়েছি।

তিনি আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন, আমরা শুধু কুয়েতি সংস্থার উত্তরা অফিসে নিজেদের হাতে টাকা জমা দিয়েছি। আর বাকি সব কাজ হেলাল ভাই করে দিয়েছেন। আমরা অনেক দূরের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও  এই মসজিদ নির্মাণে হেলাল ভাইয়ের ব্যক্তিগত টাকা খরচ হয়েছে আমাদের পেছনে। এই মসজিদটি নির্মাণে হেলাল ভাইয়ের সম্পূর্ণ অবদান রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে যে যাই লিখছে সেটা তার সম্পর্কে না জেনেই লিখেছে।

এড. এম হেলাল উদ্দিন এর কাছে তার বিরুদ্ধে লেখা সংবাদটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মসজিদ নিয়ে কোনো রাজনীতি করিনি। মসজিদ আল্লাহর ঘর এটা নিয়ে যারা রাজনীতি করেছে তাদের চরিত্র সম্পর্কে কি ব্যাখ্যা দিবো সে ভাষা আমার জানা নেই। যারা মসজিদ নির্মাণের জন্য আমার কাছে আসে আমি তাদের সহযোগিতা করি মাত্র।