প্রকাশ: ২১ জুন ২০২০, ২২:৪৬
শুরুটা হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায়, বাবা যখন গুনগুন করে গান গাইতেন, বাবার সাথে তাল মিলিয়ে আমিও গুনগুন করে গান গাইতাম। তখন মীরগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি, স্কুল থেকে গানের প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেই প্রতিযোগিতায় লোকসঙ্গীত গেয়ে প্রথম হই আর সেখান থেকেই আমার গানের জীবনের পথটা শুরু, এমনটিই বলছিলেন শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ও কন্ঠশিল্পী নুসরাত জাহান রিয়া।
তিনি আরও বলেন, আমি এখনো কণ্ঠশিল্পী হতে পারিনি, শিখছি মাত্র। তবুও সকলের ভালোবাসায় যতোটুকু হয়েছে ততোটুকু অনেক কষ্ট করেই। আমার পরিবার আমাকে সাহস আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল বলেই আজ আমি এতোদূর আসতে পেরেছি। আমার মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম, শ্রদ্ধেয় অভিভাবক সাংবাদিক শরীফুর রহমানের অনুপ্রেরণা ও সঙ্গীতগুরু, জেলার আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এমন অনেক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যাদের উৎসাহ অনুপ্রেরণায় আজ আমি রিয়া হতে পেরেছি, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে সংগীত নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের স্বপ্ন দেখেন কলেজ পড়–য়া এই তরুণী, স্বপ্ন দেখেন মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সংগীত জগতের দূরপ্রান্তে।
দেশের সঙ্গীত ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে নুসরাত জাহান রিয়া বলেন, আমার মনে হয় নতুন যারা আছি- আমরা শিখছিনা, আমরা সংঙ্গীত সাধনা করছিনা, তেমন ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছিনা, যা আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংসের মুখে ফেলতে পারে। সম্প্রতি কিছু শিল্পীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান শিখছেনা, গান সম্পর্কে কোন প্রকার জ্ঞান রাখছেনা, যারা কোন কিছু না শিখেই ওস্তাদের তালিম না নিয়েই ফোনে গান শুনে শুনেই নানাভাবে গান করে যাচ্ছে,
মিউজিক ভিডিও এবং অনলাইনে ভিউওয়ার্স বাড়াতে ওঠেপড়ে লেগেছে, সংগীত জগতের পরিবেশটা নষ্ট করছে; তাদের জন্য প্রকৃত মেধাবীরাও সুযোগ পাচ্ছেনা। সংগীত সাধনার বিষয়, শিখার বিষয়, জানার বিষয়, আমাদের প্রচুর পরিমানে সাধনা করতে হবে, রেওয়াজ করতে হবে; তাহলেই সমৃদ্ধি সম্ভব বলে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে মনে করি ।