সংকট কেটে যাবে, পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৭ই জুন ২০২০ ০৭:১৩ অপরাহ্ন
সংকট কেটে যাবে, পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অর্ডার বাতিল হওয়ায় দেশের অর্থনীতি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতি কেটে গিয়ে পোশাকশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তিনি বলেন, আমি মনে করি সমস্যার মধ্যেও সম্ভবনাও থাকে। রেডিমেট গার্মেন্টস পরিস্থিতি ইমপ্রুভ হবে। তৈরি পোশাক শিল্পে আমরা বহুবার সমস্যা ফেস করেছি এবং আশ্চর্যজনকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক টেকসই, পুনরুদ্ধার, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ এবং এফডিআই বিষয়ে ওয়েবিনার করে এফবিসিসিআই। ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী এ কথা বলেন।

তৈরি পোশাক লিল্পে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কোনো কারখানাই সামর্থ্যের শতভাগ ব্যবহার করতে পারছে না। ৩৫ শতাংশ সক্ষমতায় কারখানা সচল রেখেছে, এমন ঘটনাও আছে। বড় কারখানাগুলোও ৬০ শতাংশের বেশি সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। পোশাক কারখানাগুলো গড়ে ৫৫ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার করে কোনোরকমে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখছে। জুলাই পরিস্থিতি এখনই অনুমান করা কঠিন। উদ্যোক্তারা আশঙ্কা করছেন, সামনের দিনগুলো পোশাক শিল্পের জন্য আরও চ্যালেঞ্জময় হবে।

এমন পরিস্থিতিতেই আশাবাদ ব্যক্ত করলেন বাণিজ্য মন্ত্রী।টিপু মুনশী বলেন, ‘আমরা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি কোনো সন্দেহ নেই। কোভিড-১৯ আমাদের নতুন করে সমস্যায় ফেলেছে। আমি সবসময় মনে করি কখনও কখনও ডিফিকালটিজ অপরচুনিটি তৈরি হয়। আমার ধারণা আমাদের যে সমস্যা আছে এটাকে কাটিয়ে উঠবো। আমাদের সমস্যাকে চিহ্নিত করে প্রোঅ্যাকটিভভাবে কাজ করতে হবে। আমি আশাবাদী আমাদের অপরচুনিটি ফিরে আসবে। রেডিমেট গার্মেন্টসের সিচিউশন ইমপ্রুভ হবে।‘

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুনশী আরও বলেন, এবারও আমি বিশ্বাস করি আমাদের রেডিমেট গার্মেন্টস সেক্টর আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। কারণ মানুষের প্রয়োজন কখনও কমবে না। এটা সাময়িক ব্যপার।এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের বড় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে ভূমিকার রাখার কথা বলেন। বলেন, আপনাদের সঙ্গে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানের পরিচয় আছে। আশা করি আপনারা চেষ্টা করবেন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ব্যপারে।

এফবিসিসিআই আয়োজিত এ ওয়েবিনারে সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঞ্চালনায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সংদাস দদস্য ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন, আবদুল মাতলুব আহমাদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা করোনায় আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দেশীয় শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। দেশির প্রতিষ্ঠানকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া, কৃষি খাতের ঋণ প্যাকেজের সুদহার আরও কমিয়ে আনারও দাবি জানান।সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশের কৃষকরা চলমান সংকটকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে। তাই কৃষি খাতের ঋণ প্যাকেজের সুদহার আরও কমিয়ে আনা প্রয়োজন।