বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক সাহেবের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আসর তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় মিরপুর দক্ষিণ পাইকপাড়া নিজ বাসস্থানে। দোয়া শেষে এলাকার অসহায় দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। উক্ত আয়োজনকে সফল ভাবে সম্পূর্ণ করতে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর থানা যুবলীগ নেতা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, মিরপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান শরিফ, সমাজসেবক রাসেল আহমেদ প্রধান, আর্কিটেক্ট এস এম রাহাত সবুজ। মরহুম মালেক সাহেবের ছোট ছেলে ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী আব্দুল আউয়াল রিজভী সবার কাছে তার বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
মরহুম আব্দুল মালেক ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জোনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দপ্তরে চাকরি রত ছিলেন, ২৬শে মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার পর তিনি পূর্ব পাকিস্তানের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন এবং মুজিবনগর সরকারের একাত্মতা ঘোষণা করেন। তিনি তৎকালীন গঠিত মুজিবনগর সরকারের একজন কর্মচারী ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের কৃষ্ণনগর অক্ষ বিদ্যাপীঠ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং দেশকে স্বাধীন করার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন।যুদ্ধের সময় তার সহযোদ্ধা ছিলেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা জনাব তৌফিক এলাহী। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় লাভের পর তিনি বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যোগদান করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তাকে ১৯৭৮ সালে পুরষ্কার স্বরূপ দুই বছরের সিনিয়ারিটি ও ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রালয় গঠনের পর বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তিনি পেয়েছেন। ২০১৫ সালের ৩১শে মে তিনি যশোরের নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসাবে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিল এর সদস্য, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী সমিতির সদস্য, যশোর কালেক্টরেট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা মালেক মার্কেট এর প্রতিষ্ঠাতা, যশোরের দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন দাতা, মুড়লি তারা জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাকালীন দাতা ছিলেন। তিনি যশোরের প্রথম সরকারি পরিবহন পুল এর রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ি যশোর-ক/১বি ব্যবহার করেছিলেন।