পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালীন সময় ইউএনও ও দুই পুলিশসহ পাঁচ সরকারী কর্মচারীর উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সোমবার দুপুরে উপজেলার বারবানবাদ চ্যানেলের পশরবুনিয়া গ্রাম সংলগ্ন নদীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ভাংচুর করা হয় সরকারী স্পীড বোড।
পরে নদীতে টহলরত কোষ্টগার্ডের সহায়তায় হামলার নেতৃত্বদান কারী লিটন গাজী ও রানা হোসেনকে আটক করে পুলিশ। সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলার ঘটনায় এ দুই জনকে আসামী করে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভ‚মি অফিসের পেসকার মো. জাফর।
এসময় অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িত ০৮ জনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জগৎবন্ধু মন্ডল। দন্ডিতরা হচ্ছে জহিরুল ইসলাম, হানিফা, বশির আহম্মেদ, জহিরুল ইসলাম-২, মাসুদ রানা, মোহাম্মদ মিরাজ, ওমর ফারুক ও হিরন হাওলাদার।
ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কাটার খবর পেয়ে পশুরবুনিয়া নদীতে ড্রেজারের কাছে পুলিশসহ অভিযানে যান তিনি। তখন ড্রেজারের মাসুম নামের এক স্টাফকে বালু কাটার মালিক লিটন গাজীকে প্রয়োজনীয় বৈধতার কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। কিছুক্ষন পরে লিটনসহ গাজী আরও ৪০-৫০জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এমনকি একটি নৌযান নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বোটটিকে ধাওয়া করে। এসময় কোস্টাগার্ডের সহায়তায় নিয়ে ধাওয়াকারীদের মূল হোতা লিটনাগাজী সহ তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ড্রেজারের স্টাফ আরও আটজনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।