আশুলিয়ায় অসহায় শ্রমিক পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় মসজিদের নামে জমি দখলের ষড়যন্ত্র করে একটি নিরীহ পরিবারকে ফাঁসানোর পায়তারা করছে একটি কুচক্রী মহল। একই সাথে পরিবারটিকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে থানায় করা হয়েছে মিথ্যা অভিযোগ। শুক্রবার (২ মে) দুপুরে আশুলিয়ার শিমুলিয়া বড়নগর (তেলিপাড়া) এলাকার জালাল সিকদার এবং হালিম সিকদার নামক দুই সহদর এমন অভিযোগ করেন।
এলাকাটি ঘুরে ও ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ধামরাই থানাধীন পূর্ব পাইকপাড়া এলাকার ইউসুফ আলী সিকদারের ছেলে জালাল সিকদার এবং হালিম সিকদার গার্মেন্টসে কাজ করে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি দখলের পায়তারা করে আসছিলো সাঈদ ব্যাপারী নামের এক ভুমিদস্যু। কৌশল করে তাদের জমিতে প্রায় ৬ মাস পুর্বে একটি টিনের ছাবরা মসজিদ নির্মান করেন সাঈদ। পরে সেই মসজিদে হামলা ও মাইক ভাঙ্গচুর করে জালাল সিকদার এবং হালিম সিকদারের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ করেন কুচক্রী সাঈদ।
দলিল ও কাগজ পত্র সূত্রে জানা যায়, দক্ষিন শিমুলিয়া মৌজায় আর এস ১৩১ খতিয়ানের ১৪০৭ দাগের ৬২ শতাংশ জমি সাব-কবলা দলিলে ১৯৬১ সালে রমেন্দ্র মোহন সাবকবলা দলিলে বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হন। হোসেন আলী সিকদারের মৃত্যুর পরে তার ২ সন্তানের মধ্যে ইউসুফ আলী সিকদার ওয়ারিস সুত্রে ৮ আনার মালিক হন এবং শুদ্ধরুপে আর এস রেকর্ডে লিপিবদ্দ হয়। এই জমি ইউসুফ আলী সিকদার অর্থের প্রয়োজনে সাবকবলা বিক্রি করে দেন। জমিটি বিক্রি করায় ইউসুফ আলী সিকদার ও তার ছেলে জালাল সিকদারের পরিবারের বিরুদ্ধে হয়রানীমুলক মিথ্যে অভিযোগ করেন সাঈদ। এর আগে ওই জমিটি নিয়ে একাধিকবার আশুলিয়া থানায় বসে প্রকৃত কাগজপত্রাদি উপস্থাপন করতে বলা হলে পারেনি ভুমিদস্যু সাঈদ ব্যাপারী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গার্মেন্ট কর্মী জালাল সিকদার জানান, তফসিল ভুক্ত ওই সম্পত্তি বিক্রি করেছে আমার বাবা ইউসুফ আলী সিকদার। জমিটি বিক্রি করার পরে ওই জমিতে কি নির্মান হবে এটা আমরা নর্ধারণ করতে পারি না। শুধু শুধু মসজিদ ভাঙ্গচুরের অপবাদ দিয়ে আমাদের এই নিরীহ পরিবারকে হয়রানী করা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।
ভুমিদস্যু সাঈদ ব্যাপারীর দলিল পত্রাদি ও রেকর্ডিয় কাগজ পত্রাদি দেখে জানা গেছে, তিনি তার মাতৃসুত্রে মালিক হয়ে সম্পত্তি দাবি করেছেন। কিন্তু তার মা হাজেরা ১৯৮৬ সালে রমেন্দ্র মোহনের স্ত্রী বিথিকা রানীর কাছ থেকে থেকে একটি সাবকবলা দলীল করেন। যাহার তফসিল আর এস ১৩৫ খতিয়ানে ১৪০৭ দাগ উল্লেখ রয়েছে। যাহার সত্যতা আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল (ভুমি) কমিশনার অফিসে যাচাই বাছাই করলে তা ভুল তথ্য হিসেবে প্রমানিত হয়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হুদা জানান, মসজিদ ভাংচুরের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছে মসজিদ কমিটি পক্ষ৷ তদন্ত করা হচ্ছে সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড হবে । তবে কে বা কাহারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে নাকি বানোয়াট ঘটনা, তা তদন্ত করে বের করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।