এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সাকিলুর রহমান তালুকদারকে (সোহাগ) সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে। সাকিলুর রহমান সোহাগ মাদারীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, সোহাগ তালুকদারের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এবং গত ১৭ মার্চ ঢাকার ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। তাই দলের ভাবমূর্তি ও স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে দলীয় পদ থেকে অব্যহতি প্রদান এবং দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বরিশালের বানরী পাড়া উপজেলার ২৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছিল সোহাগ। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক করে। এসময় ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সোহাগ তালুকদার ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বাধ্য হয়ে ঢাকার ভাটারা থানায় মামলা করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার এক তরুণীকে শুধু ধর্ষণই করেননি; তার বিরুদ্ধে দলের শৃংখলা ভঙ্গের আরো অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে; যাতে স্থায়ী ভাবে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।