আগৈলঝাড়া উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের ছাদ ভেঙ্গে পরে অন্তত পাঁচ জন ভর্তি রোগী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল র্পাঁচটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আতংকিত রোগী ও স্বজনদের দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি। দুর্ঘটনার খবর শুনেই হাসতালে ছুটে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত রোগীরা জানান, বিকেল পাঁচটার দিকে আকস্মিকভাবে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদ ভেঙ্গে পরে। ছাদ ভেঙ্গে পরে পুরুষ ওয়ার্ডের ভর্তি হওয়া রোগী উপজেলার বারপাইকা গ্রামের পরিমল বিশ্বাসের ছেলে প্রকাশ বিশ্বাস (১৭) ও তার ভাই সজল বিশ্বাস (১৪), রাংতা গ্রামের সায়মন ইসলাম লিমন (১১), জোবারপাড় গ্রামের শষ্ঠী চরণ বৈরাগীর ছেলে জীতেন্দ্র নাথ বৈরাগী, দক্ষিন শিহিপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মোফাচ্ছের হাওলাদার (৬৫) আহত হয়েছে। আহত রোগীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতালের ছাদ ভেঙ্গে পরায় ভর্তি রোগী ও তাদের সাথে থাকা স্বজনেরা আতঙ্কিত হয়ে দ্বিগবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।
উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ারআল মামুন হাসপাতালের ছাদ ভেঙ্গে পরে রোগী আহত হবার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বাধীনতার পরেই সরকার ১৯৭২ সালে উপজেলার গৈলা এলাকায় ৩১শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান করে। স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চেষ্টা ২০০৪ সালে ৩১ শয্যার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করেন করা হয়। ৪৮ বছর আগে নির্মিত হাসপাতালের মুল ভবন অনেক আগেই জরাজীর্ণ হয়ে পরে।
এ নিয়ে বিস্তর সংবাদও প্রকাশিত হয়। ওই সকল সংবাদের কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মানের আশ্বাস দিলেও আজও নির্মিত হয়নি নতুন ভবন। জরাজীর্ণ ওই পুরান ভবনেই চলছে রোগী চিকিৎসা সেবার কাজ। একই সাথে চিকিৎসকদের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনগুলো অনেক আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই পরিত্যাক্ত ভবনেই বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রæয়ারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তৎকালিন স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী খায়রুল আহসান। এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাক হাসান। তিনি হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মানসহ চিকি’সক ও জনবল সংকটসহ সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে গেলেও কার্যত তার ওই সফরের কোন সুফল পায়নি আগৈলঝাড়ার সাধারণ জনগন। আজও নির্মিত হয়নি নতুন ভবন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।