হিজলায় কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় মা-মেয়েকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শুক্রবার ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৬:২৬ অপরাহ্ন
হিজলায় কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় মা-মেয়েকে মারধর

বিচারের আশায় আর টাকার অভাবে, এক সপ্তাহ আগে নারী নির্যাতনের ঘটনাটি অনেকটাই ধামাচাপা পরে আছে। ঘটনাটি বরিশালের হিজলা উপজেলার, হিজলা গৌরব্দি ইউনিয়নের পূর্ব মান্দ্রার ৬ নং ওয়ার্ডে ঝর্ণা(১৫) নামে এক কিশোরীকে, একই এলাকার লম্পট আনোয়ার পাটোয়ারী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়।

ঝর্ণা এই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে প্রতিবাদ করার কারণে, ঝর্ণাকে, ছোট ভাই আরিফ(১২) এবং মা(ফাতেমা) কে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে আনোয়ার পাটোয়ারী এবং তার সন্তানেরা। ঝর্ণার মা হিজলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নির্যাতিতা ঝর্ণা পূর্ব মান্দ্রার ক্ষুদ্র চায়ের দোকানদার লেদু জমোদ্দারের মেয়ে।

ঘটনার বিবরণে নির্যাতনের শিকার এবং ভয়ে দিন-রাত কেটে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা ইনিউজ৭১কে জানায়, লম্পট আনোয়ার পাটোয়ারী অনেক দিন ধরেই ঝর্ণাকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিতো। তবে ঘটনার দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার বেলা ১১ টার সময়, সে আবার ঝর্ণাকে বলে তার সাথে বরিশাল যেতে। ঝর্ণাকে বিয়ে করে আলাদা সংসার করবে। এতে ঝর্ণা প্রতিবাদ করলেই সাথে সাথেই ক্ষিপ্ত হয়ে পাটোয়ারী ঝর্ণাকে মারধর করে। ঝর্ণা ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানায়। ঝর্ণার বাবা ঘটনার ব্যাপারে পাটোয়ারী কাছে জানতে চাইলে পাটোয়ারী তাকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে।

পরে ঝর্ণার পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকার মেম্বার হোসেন মোল্লাকে ঘটনাটি জানালে, মেম্বার তাদের জানায় ঘটনাটি মান্দ্রার পুলিশ ফাঁড়িতে জানাতে। পরে ঝর্ণার মা একটি লিখিত অভিযোগ ঐদিনের ফাঁড়ি ইনচার্জ এস,আই রাকিবুল ইসলামের হাতে জমা দেন। এসআই তদন্তে যাবেন এই আশ্বাসে ঝর্ণা মা বাড়িতে ফিরে আসে। পরের দিন সোমবার দুপুরে ঐ ঘটনার জেড় ধরে ঝর্ণার ছোট ভাই আরিফকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে পাটোয়ারীর ছেলে শরীফ। ভাইকে উদ্ধারে ঝর্ণা ছুটে গেলে, ঝর্ণাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ঝর্ণাকে উদ্ধারে মা (ফাতেমা) ছুটে গেলে পাটোয়ারী এবং তার মেয়ে ইমনি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাকেও রক্তাক্ত করে। পরে পরিবারের সদস্য এবং এলাকার মানুষের সহায়তায় হিজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার ব্যাপারে আনোয়ার পাটোয়ারী কাছে জানতে চাইলে, সে জানায় সামান্য ঘটনা। আর ঝর্ণার বাবা তার নামে মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে। সে আরো হুমকি দিয়ে বলে, আমার কিছু করতে পারলে ঝর্ণার বাবা করুক। সাথে সাথে আবার বলে এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সালিসি করবেন। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।

ঘটনার ব্যাপারে এস,আই রাকিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে, সে জানায়, ঐদিন সে ঐ এলাকায় একটি গরু চুরির ঘটনায় ব্যস্ত ছিলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সবাই হিজলা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এরপরের ঘটনা তার জানা নেই, বলে সে জানায়।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব