পিরোজপুরের নেসারাবাদ উপজেলায় বাহারী রকমের ফুলের চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন হাজারও কৃষক। সন্ধ্যা নদীর তীর ঘেষা নান্দনীক পরিবেশে গড়ে ওঠা এসব বাগানে রয়েছে দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির ফুল ও ফলের চারা। যা বিক্রি করে এ মৌসুমে কৃষকরা আয় করছে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা । আর এ কারনে দিন দিন বাড়ছে ফুল চাষের আবাদ। শৌখিন দর্শনার্থী মনোরম পরিবেশ উপভোগ শেষে বাসাবাড়ির বারান্দা বা ছাদ সাজাতে যে যার মত ফুলের চারা কিনছেন তারা। এ ফুল চাষে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার হাজার-হাজার মানুষের।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের বাহারী রকমের ফুল ও ফুলের চারা বা টপ বিক্রিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরুপকাঠি) উপজেলার নার্সারি ব্যবসায়ীরা । উপজেলার ছারছিনা, অলঙ্কারকাঠি, আটগড় কুরিয়ানা ও পশ্চিম কুনিয়ারী গ্রামের অধিকাংশ লোকই এখন ঝুকছেন ফুলচাষের দিকে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত চলছে ক্রেতা আর দর্শনার্থীদের আনা গোনা। দেশের বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা প্রশান্তির আশায় ছুটে আসে নেছারাবাদের ফুল বাগানের গালিছায়।সবুজ-হলদে ফুলের চৈত্রের বাহারী সমারোহে দর্শনার্থীদের ভিড় যেন চোখে পড়ার মত। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফুলের গাছ কিনতে আসেন ব্যসায়ীরা।
দর্শনার্থীরা ফুলঝুরি সখ মিঠাতে ফুল ও ফুলের চারা এখান থেকে সংগ্রাহ করলেও দেশের বিভিন্ন অ ল বানিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠছে ফুলের নার্সারি। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় ফুল নার্সাসীতে জুকছে চাষীরা। ফুল ব্যবসায়ী আনিচ রহমান ও কবির হোসেন জানান,এখানের মাটি উর্রবর আর আবহওয়া অনুকুলে থাকায় গত ৫ বছরের চেয়ে এ বছর ফুলের আবাদ ভাল হয়েছে। আমাদের বাগানে দেশি বিদেশি ফুলের মধ্যে রয়েছে ডালিয়া, গোলাপ, চামেলি, রজনীগন্ধা, গাদা, মাধবী, ক্যামেলিয়া, গ্যাজানিয়া ও পমালিয়াসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফুল। নার্সারি ব্যবসায়ীরা আরো জানান, এখন বেশ ভালোই দিন কাটছে সুন্দর সুন্দর ফুল ও ফুলের চারা বিক্রি করে। বেড়েছে আয়,সুধু তাই নয় এখানে কাজ করে বেচে আছে অনেক পরিবার। কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক হাজার বেকার নারী ও পুরুষের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু জানান, নার্সারি শিল্পটি আরো সম্প্রসারিত করতে পারলে সরকার এখান থেকে ভালো রাজস্ব পাবে।তাই উপজেলার নার্সারি ব্যবসায়ীদের সকল সহযোগিতা করা হবে। আর নার্সারি মালিকদের সার্বিক সহযোগিতার আশ^াস দিলেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হেনা মো.জাফর জানান, উপজেলার ৫২ একর জমিতে ১৫০ থেকে ২০০ শতাধিক ফুল ও ফলের নার্সারি রয়েছে।
পিরোজপুরের নেসারাবাদ উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১১ টি গ্রামে ২০০ প্রজাতির ফুল ও ফুলের চারা উৎপাদন করে আসছেন এখানকার কৃষকরা। এখানকার চাষীদের দাবী সরকার সহজ শর্তে কৃষি ঋনের ব্যাস্থা করে দিলে শিক্ষিত আনেক বেকার যুবক ফুল চাষে আগ্রহ বাড়ত এবং বেকারত্ব আরও দূর হতো।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।