ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৬শে জানুয়ারী ২০২০ ০৫:২৯ অপরাহ্ন
ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন আতিকুল

১ ফেব্রুয়ারির সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে ব্যাপকভাবে প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। এরই মধ্যে রোববার নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

ইশতেহারে আতিকুল ইসলামের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হলো:

সুস্থ ঢাকা:

১। উন্নত বিশ্বের মত IVM( integrated Vector Management) পদ্ধতিতে DNCC, DSCC, WASA, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পার্শ্ববর্তী সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে নিয়ে বছরব্যাপী মশক নিধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

২। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমিনবাজারে RRF (Resource Recovery Facilities)  স্থাপনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য অপসারণ ও জ্বালানি শক্তিতে রূপান্তর।

৩। তারুণ্যকে অনুপ্রাণিত করতে এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে শহরের সব ওয়ার্ডের নিয়মিত পাড়া উৎসব উদযাপন।

৪। বস্তিবাসীদের জন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

৫। প্রতিটি এলাকার জলাশয় দখল মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করে নাগরিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।

৬। ডিএনসিসির বর্ধিত এলাকায় নারী বান্ধব CRHCC( Comprehensive Reproduc-tive Health Care center) এবং PHCC (Primary health care center) নির্মাণ।  

৭। মিরপুরে ডিএনসিসির নিজস্ব জায়গায় বৃক্ষ অনুরাগীদের জন্য বৃক্ষ ক্লিনিক ও পোষ্য প্রাণী ক্লিনিক নির্মাণ।

৮। সবার জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এলাকাভিত্তিক দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ।

৯। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক পশু জবাই কেন্দ্র স্থাপন।

১০। ডিএনসিসির প্রতিটি স্থাপনায় মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র নির্মাণ।

১১। বিশেষভাবে সক্ষম এবং নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবার জন্য পর্যাপ্ত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ।।

১২। ঢাকা উত্তরের উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন জায়গায়  Mist blower এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়ুদূষণ  কমানো।

১৩। ডিএনসিসি প্রতিটি ওয়ার্ডে নানাবিধ সুবিধা সংবলিত কমপ্লেক্স তৈরি।

সচল ঢাকা:

১।  ফুটপাত দখলমুক্ত করে এলাকাভিত্তিক পথচারী বান্ধব ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য ফুটপাত নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

২।  যানজট নিরসনে DMP, DTCA, BRTA, DSCC পরিবহন মালিক সমিতি-সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

৩। নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ঢাকা উত্তরে বিভিন্ন জেব্রাক্রসিংয়ে Digital Push Button Signal স্থাপন করা।

৪। আধুনিক নগর পরিবহন ব্যবস্থার জন্য ডিজিটাল e-ticketing সেবা প্রদানের সময়সূচি পরিবর্তন এবং সুনিয়ন্ত্রিত নারীবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিতকরণ।

৫। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন।

৬। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নাগরিকদের জন্য গণস্থাপনা এবং গণপরিবহন নিশ্চিত করন।

৭। নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে বহুতল আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ। 

৮। হকারদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

৯। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত পরিকল্পনা ঢাকা বাস রুট রাশনালাইজেশন এর কাজ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সকলকে নিয়ে অগ্রধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা।

১০। নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় অনুযায়ী অধিকাংশ স্থানে এস্কেলেটরসহ  নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ।

১১। সাইকেলের জন্য আলাদা লেন (যেখানে সম্ভব)  এবং সাইকেল পার্কিং তৈরি করা।  

১২। নাগরিকদের যাতায়াত সুবিধার জন্য পরিকল্পিত স্মার্ট বাস স্টপেজ ও বাস ট্রাক  টার্মিনাল নির্মাণ।

১৩। প্রতিটি মহল্লার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং সেন্সরের মাধ্যমে জলাবদ্ধতার স্থান ট্র্যাক করে সমাধান করা।

আধুনিক ঢাকা:

১। সবার ঢাকা এর মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার অভিযোগ গ্রহণ ও সার্বক্ষণিক তদারকিসহ সকল নাগরিক সুবিধার নিশ্চিতকরণ, যেখানে মেয়রের সাথে নাগরিকদের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে।

২। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন,  ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা প্রদান।  

৩। ব্যবসায়ীদের কোনও প্রকার অসুবিধার সম্মুখীন না করে,  ডিএনসিসির মালিকানাধীন কাঁচা বাজার ও মার্কেটগুলোর আধুনিকায়নের জন্য চলছে স্ট্রাকচারাল আপগ্রেডেশেন।  

৪। একটি সার্বক্ষণিক digital command center তৈরি,  যার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা,  Smart Neighbourhood পরিচালনা ইত্যাদি সম্পন্ন।  

৫। নাগরিকের সার্বিক উন্নয়নে নগর পরিকল্পনাবিদ-স্থপতিসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ।

৬। সকল লেক-খালের সংস্কার, উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিয়ন্ত্রণ, পাবলিক স্পেস বৃদ্ধি করা, টেকসই পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

৭। বায়ু দুষণরোধে ইলেট্রিক বাস সেবা চালুকরণ।  

৮। ব্যবসায়ী সমাজের ভোগান্তি কমাতে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তৈরি হবে হেল্প ডেস্ক।  

৯। উত্তর ঢাকাকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি এলাকাকে smart neighbourhood ঘোষণা।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব