নুরের ওপর হামলা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা যাবে না: মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:২৮ অপরাহ্ন
নুরের ওপর হামলা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা যাবে না: মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর আক্রমণ মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর ওপর আক্রমণ। নুরের ওপর হামলা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করা যাবে না।’ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ডাকসুর ভিপির ওপর আক্রমণ মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর ওপর আক্রমণ। কারণ নুর তাদেরই নির্বাচিত ভিপি। নূরের ওপর আক্রমণ সারা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের ওপর আক্রমণ, সারা বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা-চেতনার ওপর আক্রমণ, গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।’ তিনি বলেন, ‘নূর গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছে, যা অসত্য, মিথ্যা তার প্রতিবাদ করেছে। এদেশে গণতন্ত্র হত্যা করা হলে কি প্রতিবাদ করা যাবে না? এজন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। নুরদের কারণেই দেশ থেকে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, অন্যায় দূর হবে। সেই ভয় থেকেই সরকার নুরদের ওপর বার বার নির্যাতন করেছে।’

মোশাররফ বলেন, ‘এক নূর ছিল এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে। এরশাদকে রক্ষা করার জন্য তার পেটওয়াবাহিনী গুলি চালিয়েছিল। এরশাদ রক্ষা পায়নি। আজকে ভিপি নুরকে আক্রমণ করে যারা স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী কায়দায় ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায় আমি বিশ্বাস করি এটা কখনও সম্ভব হবে না। এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার মানুষ আছে।’ বাংলাদেশে আজকে অলিখিত বাকশাল চলছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, ‘বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে, তাদের অধীনে নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত করে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার ভোটের আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তাদের কাছে গিয়ে লাভ নাই। অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে সরকার। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। আজকে গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের বাক্সে বন্দি।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানুল্লাহ আমান প্রমুখ।