পরিবেশ দূষণ রোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী যখন সভা সেমিনার সহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে তার মধ্যেই বরিশাল নগরীসহ আশপাশের জেলা উপজেলায় বিভিন্ন পরিবহনে বিশেষ করে মটর সাইকেল ও অটোরিক্সায় মারাত্মকভাবে বাড়ছে এলইডি লাইট ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার।
ফলে বরিশাল নগরীসহ সদর উপজেলার সড়ক ও মহা-সড়কগুলোতে সন্ধ্যা নামলেই চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ লাইটের আলো এতটাই তীব্র যে বিপরীত দিক থেকে কিছুই দেখা যায়না। ফলে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। অপরদিকে নগরীর যান্ত্রিক জীবনে প্রতিনিয়তই বাড়ছে শব্দদূষণ। শব্দ দূষনের ফলে বধিরতার পাশাপাশি বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা। ক্রমাগত বাড়তে থাকা শব্দের মাত্রা আগামীতে অসুস্থ প্রজন্মের জন্ম দেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। শব্দ দূষণ ও এলইডি লাইটের ব্যবহার প্রতিরোধে বরিশাল ট্রাফিক বিভাগ থেকে একাধিকবার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ধারাবাহিক অভিযান না হওয়ায় এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এমনকি ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, ৬০ ডেসিবেল শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে। তাই এ ব্যাপারে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার: বর্তমানে যে কোন সাধারন ব্যক্তি রাতে নগরীসহ সড়ক-মহাসড়কে বের হলেই গাড়ির হেডলাইটের যন্ত্রনায় পড়বে। আর যানবাহনের হেডলাইটের এবং এলইডি লাইটের আলোর প্রভাবে রাতে চলাচল করা অনেকটা ঝুঁকি হয়ে পড়েছে। নগরীর সর্বত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে নানান ধরনের যানবাহনের সংখ্যা আর সেই সাথে বেড়ে চলছে এলইডি লাইটের ব্যবহার। যানবাহনের সাথে লাগানো এলইডি লাইটের আলো চলাচলের সময় তীব্র আলো চোখে পড়ায় সাধারন মানুষের পথ চলতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এই আলো চোখে পড়া মাত্র যেন চোখ ধাধিঁয়ে যায়। ফলে প্রতিনিয়ত মানুষ সড়ক দূর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে। এলইডি লাইটের অধিক ব্যবহার বন্ধে ট্রাফিক পুলিশসহ প্রশাসনের কোন মাথা ব্যাথা নেই। মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও তার ধারাবাহিকতা না থাকায় এলইডি লাইটের ব্যবহার কমছে না। রাতে নগরের ব্যস্ততম সড়ক সদররোড, নতুন বাজার, কাকলির মোড়, ল ঘাট, জেলখানার মোড়, বটতলা সড়ক, রূপাতলী, সাগরদী বাজার সড়কসহ প্রায় বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে সরোজমিন দেখা যায় প্রতিটি অটোভ্যান, অটোরিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি, মাহিন্দ্রা, নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক যানবাহনে এলইডি লাইটের ব্যবহার।
এছাড়া অন্য লাইট ব্যাবহারকারী যানবাহনের চালকরা এই এলিডি লাইটের আলোর কারণে দাড়িয়ে যায়, কারণ একটু বেপরোয়া হলেই ঘটবে দূর্ঘটনা। অপরদিকে নগরের সড়ক ও মহাসড়কে চলাচলকারী বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ কোন গাড়ির হেডলাইটের উপরের অংশে এখন আর কালো রং ব্যবহার করা হয় না।
যার কারণে এ সকল গাড়ির আলো সরাসরি বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির চালক ও পথচারিদের চোখে ধাঁধিয়ে যায়। আর তখনই ঘটে দূর্ঘটনা। একাধিক চালক বলেন, বিপরীত দিক থেকে আসা অটোভ্যান, অটোরিক্সা বা ইজিবাইকের এলইডি লাইটের আলোর কারণে চালক এবং সাধারন মানুষের পথ চলতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। সড়ক দুর্ঘটনার কারনগুলোর মধ্যে এটিও একটি অন্যতম কারন বলা চলে। যা এখনই প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, এলইডি লাইটের প্রভাবে মানুষের চোখে কর্নিয়া থাকে এবং এই আলো সরাসরি চোখে লাগলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আলো চোখে লাগতে থাকলে কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যাতে করে চোখে কম দেখা, ঝাপসা দেখাসহ আস্তে আস্তে অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
হাইড্রোলিক হর্ণ, সাউন্ড সিস্টেম ও মাইকের ব্যবহারঃ বরিশালে বিভিন্ন কারণে মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ হচ্ছে। ফলে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে মাইক, পটকাবাজি, ডিজেল চালিত জেনারেটর, মিছিল, মিটিংয়ে স্লোগান ছাড়াও পরিবহনের অতিরিক্ত সাউন্ডে হর্ন বাজানো। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল, ওয়াজ মাহফিল, ওরশ পূজাম-প ও বিয়েবাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেম বাজানো হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে দিন-রাত সমানতালে মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ফলে মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শব্দদূষণ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অর্থদ- ও কারাদ-ের বিধান থাকলেও বরিশালে তা প্রয়োগ হতে দেখা যায়নি। জানা গেছে, শব্দদূষণ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অর্থদ- ও কারাদ- দেয়ার বিধান থাকলেও তা কার্যকর না করায় মূলত শব্দদূষণের মাত্রা বাড়ছে। এ ছাড়া যা থেকে মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ হয় তা হলো- পটকাবাজি (৯০-১২০ ডেসিবেল), ডিজেল চালিত জেনারেটর (৮০ ডেসিবল), মিছিল, মিটিংয়ে স্লোগান, লাউড স্পীকার ও মাইকের মাধ্যমে (১১০ ডেসিবেল)।
মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এর ১৩৯ এবং ১৪০নং ধারায় নিষিদ্ধ হর্ন ব্যবহার ও আদেশ অমান্য করার শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদ- ও অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। তাছাড়া শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। ২০০৬ সালের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ আইনের শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা অনুযায়ী নীরব এলাকায় ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দিনে ৫০ এবং রাতে ৪০ ডেসিবেল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫ এবং রাতে ৪৫ ডেসিবেল, শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ ও রাতে ৭০ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দের মাত্রা থাকা বাঞ্ছনীয়।
এই আইন অনুযায়ী হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাকে নীরব এলাকা চিহ্নিত করা হয়। শুধু নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে আবাসিক এলাকায় শব্দের মান মাত্রা অতিক্রমকারী যন্ত্রের ব্যবহার করা গেলেও বরিশাল নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিত্যদিন অবাধে চলছে শব্দ দূষণকারী যন্ত্রের ব্যবহার। আসছে শীত মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক অনুষ্ঠানসহ নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংশ্লিষ্টরা। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা নামমাত্র অনুমোদন নিয়েই ইচ্ছেমতো মাইক টাঙিয়ে শব্দ দূষণ করে যাচ্ছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনঃ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৬ এর বিধিমালায় বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকার সীমানা থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে নির্মাণ কাজের ইট বা পাথর ভাঙ্গার যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। যানবাহনে অপ্রয়োজনে উচ্চৈ শব্দে হর্ন বাজানো যাবে না। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। এই বিধির আওতায় স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতকে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আইনে আরো বলা হয়েছে কোন উৎসব, সামাজিক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে লাউড স্পিকার, অ্যামপ্লিফায়ার বা কোন যান্ত্রিক কৌশল ব্যবহার করতে হলে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবে। এসব কার্যক্রম সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টার বেশি হবে না। পাশাপাশি রাত ১০টার পর কোনভাবেই শব্দ দূষণকারী যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, ৬০ ডেসিবেল শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে। আর ১শ ডেসিবেল সৃষ্টি করে সম্পূর্ণ বধিরতা। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পরিবেশ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, ইতিমধ্যে দেশের প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের শ্রবনশক্তি কমেছে। শব্দ দূষণের শিকার হতে পারেন যেকোন বয়সী মানুষ। তবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশুরা। চিকিৎসকরা বলছেন, শব্দ দূষণের ফলে শ্রবনশক্তি কমা ছাড়াও মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়। শব্দদূষণ একটি নিরব ঘাতক হওয়ায় বাইরে থেকে টের পাওয়া যায়না ভয়াবহতা। তাই উদাসীন না হয়ে এ দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এ ব্যাপারে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ হারুন-অর-রশিদ জানান, ৬০ ডেসিবেল শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে। শব্দ দূষণের ফলে শ্রবনশক্তি কমা ছাড়াও মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মাথা ঘুরানো, কানে ঝি ঝি করাসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শব্দ দূষণ রোধে আমরা সতর্ক রয়েছি। তাছাড়া অনুমতি ব্যতীত কোথাও যদি উচ্চ শব্দে মাইক কিংবা সাউন্ড সিস্টেম বাজানে হয় এবং এ ধরণের কোন সংবাদ আমাদের কাছে আসলে তাৎক্ষণিক তা বন্ধ করার কথা বলেন তিনি। আর যানবাহনে এলইডি লাইট ব্যবহারের ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ-বিন-আলম বলেন, আমাদের আওতাধীন এলাকার মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও অটোরিক্সা চলাচল সম্পর্কে যে নিষেধাজ্ঞা আছে তা বাস্তবায়ন করছি। মাঝে মধ্যেই যে সকল যানবাহন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদেরকে ট্রাফিক বিভাগের মাধ্যমে মামলা দেয়া হচ্ছে। শব্দ দূষণের ব্যাপারে তিনি বলেন, উচ্চ শব্দে মাইক কিংবা সাউন্ড সিস্টেম বাজানো হচ্ছে এমনটি আমাদের নজরে আসলে কিংবা কেউ কোন অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক তা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, সিটিএসবি’র অনুমোদন সাপেক্ষে প্রচার, প্রচারণা কিংবা মাইক বাজাতে পারে। কেউ যদি অনুমতি ব্যতীত উচ্চ শব্দে মাইক বা সাউন্ড সিস্টেম চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যানবাহনে এলইডি লাইট ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যববহার বন্ধে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের ডিসি খাইরুল আলম বলেন, এলইডি লাইটের ব্যবহার কিংবা হ্ইাড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার রোধের দায়িত্ব বিআরটিএ’র। কেননা পরিবহনগুলোর ছাড়পত্র দেন তারা। এ ব্যাপারে তারা যদি শক্ত অবস্থান নেন তাহলে আর এলইডি লাইট ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার অনেকটা কমে যেতো। এছাড়া পরিবেশ দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তরেরও দায়িত্ব রয়েছে। তবে সড়কে চলাচলরত অবস্থায় এসব বিষয়ে আমাদের নিয়মিত মামলা দায়ের হচ্ছে। চলতি বছর বরিশাল ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন যানবাহনের উপর ৩৩ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব আমরা শতভাগ পালন করছি। তিনি আরো জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় নগরীর প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ হলুদ অটো ধ্বংস করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আব্দুল হালিম (উপ-সচিব) বলেন, এলইডি লাইট ব্যবহার, শব্দ দূষণ রোধে মোবাইল কোর্টের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে বিভিন্ন প্রোগ্রামে এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করছি। তিনি বলেন, শব্দ দূষন ও যানবাহনের কালো ধোয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অনেকেই মানছে না। তাই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শীঘ্রই আমাদের দপ্তর থেকে শব্দ দূষণ ও কালো ধোয়া প্রতিরোধে অভিযান চালানো হবে। তবে এ ব্যাপারে পরিবহন শ্রমিকদের আগে সতর্ক করে তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।