সরাইল তাফসীর কমিটি আয়োজিত ১০দিন ব্যাপী কোরআন মাহফিলের ৪৫তম আখেরি মোনাজাতে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বাৎসরিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের শেষ দিনে হযরত মাওলানা মুফতি শামছুল হক সাহেবর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এবং আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা মুনিরুজ্জামান সিরাজী সাহেব।
উক্ত তাফসীর মাহফিলে সরাইল থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ সাহাদাত হোসেন টিটো বক্তব্য বলেন, সরাইল উপজেলাকে দাঙ্গামুক্ত করতে গত চার মাস যাবত পুলিশ নানা সচেতনতামুলক সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে। জমা নেওয়া হচ্ছে দেশীয় অবৈধ অস্ত্র। এতো কিছুর পরও গতকাল সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর এলাকায় দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গায় অন্তত ১০০ মানুষ আহত হন। সেই দাঙ্গা রোধ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যও আহত হন। আমি আমার ঊর্ধ্বতন অফিসার নিয়ে গিয়ে সেই এলাকা পরিদর্শনে জানতে পেরেছি, সেই দাঙ্গা সৃষ্টির নেপথ্যে সেখানকার সর্দার-মাতব্বররা। তাই সেই দাঙ্গায় পুলিশ এসল্ট মামলায় সেখানকার সর্দার-মাতাব্বরদের আসামি করা হচ্ছে।
এখন থেকে যেই গ্রামে দাঙ্গা হবে, সেই গ্রামের সর্দার-মাতব্বরদের ধরা হবে। তিনি গ্রাম্য সর্দারদের ইঙ্গিত করে বলেন,গ্রামের কতিপয় সর্দার তুচ্ছ নানা ঘটনায় উসকানি দিয়ে এ দাঙ্গা সৃষ্টি করায়। এতে তারা অর্থ বাণিজ্য করে এবং সেই টাকায় ব্যাগ ভর্তি বাজার করে সংসার চালায়। এছাড়া তাদের অন্য কোনো পেশা নেই, তাই এই দাঙ্গাকে পুঁজি করে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন। এখন থেকে কোন গ্রামে দাঙ্গা-সংঘর্ষ সংঘটিত হলে, মামলায় আসামি করা হবে সেই গ্রামের সর্দার-মাতব্বর।
আর যারা দাঙ্গায় আহত হবেন, তাদেরকে সেই মামলার সাক্ষী করা হবে। সোমবার (৯ডিসেম্বর) রাতে সরাইল ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিনে ওসি সাহাদাত হোসেন আরও বলেন, সরাইল উপজেলার শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ ভালো এবং শান্তি প্রিয়। মাত্র ৫ ভাগ মানুষ দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত এবং তারা দাঙ্গাকে পছন্দ করে। ইতোমধ্যে দাঙ্গা প্রিয় সেই লোকদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।