নতুন সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে যাওয়াসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১ নভেম্বর থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের জন্য এখন সারা বাংলাদেশ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আগামী সাতদিন এই প্রচারণা চলবে। এই সময় কোনও পরিবহনের বিরুদ্ধে নতুন আইনে মামলা দায়ের না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে বিআরটিএ’র কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সঙ্গে বিএনপির বক্তব্যর মিল নেই। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থার এমন কোনও অবনতি হয়নি যে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছেন এবং সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। গণমাধ্যামকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যদি সুস্থ সুন্দর না হতো মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে?
তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে গলাবাজি করছে। বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দেয়ার পরও জনগণ সাড়া না দেয়ায় আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নালিশ করছে মানুষের কাছে। নালিশ করা বিএনপির একটি রোগে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরই মধ্যে জেলা পর্যায়ে ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদসহ বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।