
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৯, ২২:৯

আর মাত্র ১৬ ঘণ্টা পরেই ঈদুল আজহার নামাজ পড়বে দেশবাসী। শেষ মুহূর্তে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাটে চলছে কেনা-বেচা। তবে গতকালের চেয়ে আজ ক্রেতাদের ভিড় তেমন দেখা যাচ্ছে না হাটগুলোতে। কিন্তু অসংখ্য গরু-ছাগল নিয় ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রেতারা। ঈদের একদিন আগে রাজধানীর পশুর হাটগুলো ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেল। গত দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে গরুর দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। পশুর আধিক্য কিন্তু ক্রেতা কম থাকায় গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ (রোববার) দাম পড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
তিনি বলেন, বয়োবৃদ্ধ গরুগুলো আর ফিরিয়ে নেব না, এতে আরো লস। ক্রেতারা কম দাম বলছে। যে গরু ৮০ হাজার টাকায় কিনে পাবনা থেকে এখানে আনতে আরো খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা, সে গরু ৭৫ হাজারের বেশি দাম উঠছে না। প্রায় একইচিত্র গাবতলী ও শনিরআখড়া পশুরহাটের। গরু অনেক কিন্তু ক্রেতা কম। এক ক্রেতা জানান, গত দুই দিনই হাটে এসেছিলাম, দাম শুনে বিফল হয়ে বাসায় ফিরেছি। একটু আগে সফল হলাম। যে আকারের গরু গত দুদিন ধরে ১ লাখের নিচে দিচ্ছিল না আজ ৯২ হাজারে পেয়ে গেলাম।
কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না, বিক্রেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে গাবতলী হাটে গরু কিনতে আসা আরাফাত হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, হাটে গরুর অভাব নেই। তারপরও বেশি লাভের আশায় বেপারিরা গরু বিক্রি করেননি গত দুই দিন। তিনি বলেন, যে গরুর সর্বোচ্চ আড়াই থেকে তিন মণ মাংস হবে তার দাম ১ লাখ টাকা কী করে চান বিক্রেতা! আমরা ক্রেতারা তার দাম সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকার ওপর বলছি না । ওই দামে গরু না ছাড়ায় হাটে অনেক গরু এখনো রয়ে গেছে। তবে এই ক্রেতার মন্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেন সিরাজগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী হাসেম বেপারি।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব