অপহরণের ৩ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৩০শে অক্টোবর ২০১৯ ০৬:০২ অপরাহ্ন
অপহরণের ৩ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার, আটক ১

শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলা থেকে অপহৃত শিশু ইব্রহিম খলিফা(১১) তিনদিন পর ঢাকা সদরঘাট থেকে অপহরন কারিসহ উদ্ধার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। এর আগে গত রবিবার (২৭অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সখিপুর থানার নরসিংহপুর ন‚রানি মাদ্রাসা হইতে ১১ বছরের শিশু ইব্রাহিমকে অপহরন করে নেয়ার পর পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে অপহরনকারী।

অপহরনকারী হলেন, নেত্রকোনা জেলাসদর কুরপাড়া মাস্টার বাড়ী পৌরসভার পিতা মৃত্য রিয়াজ উদ্দিন খানের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ খান(২৫)। এ বিষয়ে বুধবার (৩০অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সখিপুর থানা কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে অপহরনকারী গ্রেফতারের বিষয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভেদরগঞ্জ সার্কেল কল্লোল কুমার দত্ত সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, এ অপহরনের কোন ক্লু আমাদের কাছে ছিলনা। স‚ত্রমতে জানতে পারি অপহৃত শিশু ইব্রহিম খলিফার বাবা জালাল উদ্দিন পেদা বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ইব্রাহিমের বাবার অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২৭অক্টোবর চরসেনসাস পেদা কান্দি থেকে জালাল উদ্দিন পেদা একটা অভিযোগ নিয়ে আসে যে তার ছেলেকে খুজে পাচ্ছিল না এবং তার ছেলেকে অপহরন করছে বলে তার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তার এই অভিযোগটি পাওয়ার পর পর আমি সখিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেই এবং সে তার (এসআই) মাহফুজকে তার র্ফোসসহ অভিযানে বের হবার নির্দেশ দেয়। পড়ে মোবাইল  ট্রাাকিংয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রত্যেক জায়গায় ছুটতে থাকে। কিন্তু অপহরনকারী ছেলেটিকে নিয়ে এত দ্রতই স্থান পরিবর্তন করছিল যে, আমাদের পক্ষে মুভ করা কষ্ট হয়ে উঠেছিল। পরে সর্বশেষ সদরঘাট এলাকায় তার অবস্থান দেখতে পাই। আর সে অনুযায়ী প্রায় ১ ঘন্টার প্রচেষ্টায় শেষে তাকে ধরতে সক্ষম হয়।

ইব্রহিমের বাবা জামাল উদ্দিন পেদা বলেন, গত ২৭ তারিখ মাদ্রাসায় দিয়ে আসার পর ইব্রাহিম নিখোঁজ হয়। ইব্রহিমের সাথে তার মায়ের একটি মোবাইল ছিল। ঐদিন বিকেলে অপহরণকারী তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আমরা বিকাশের মাধ্যমে সেখানে ৪ হাজার টাকা পাঠাই এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ইব্রহিম মাদ্রাসার পাশে থাকা ল  ঘাট থেকে লে  উঠে রাজধানীর সদরঘাটে চলে গিয়েছিল। আর ঐ সদরঘাট থেকেই সে অপহৃত হয়। আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে সখিপুর থানা পুলিশ যে পরিমান কষ্ট করেছে সে কথা বলে কখনোই শেষ করতে পারবো না।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব